তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের বিভিন্ন এলাকায় একশ্রেণীর কীটনাশক ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় কীটনাশকের আড়ালে অবৈধ সার বাণিজ্যে করছে।
আবার অতিরিক্ত দামে সার কিনলেও সারের সঙ্গে কীটনাশক কিনতে কৃষকদের বাধ্য করা হচ্ছে। কিটনাশক না নিলে সার দেয়া হচ্ছে না। এসব ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কৃষি বিভাগের কতিপয়  কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তারা দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্ম করে আসছেন। বিসিআইসি ডিলার ব্যতিত ট্রাকে করে ইউরিয়া সার নিয়ে আনার কোনো সুযোগ নাই।কিন্ত্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা প্রতিনিয়ত ট্রাকে করে ইউরিয়া সার নিয়ে এনে খোলাবাজারে বিক্রি করছেন।
এদিকে খোলাবাজারে ক্রয় রশিদ বিহীন কেনা এসব সার আসল, নকল না নিম্নমাণের সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা নাই সাধারণ কৃষকের। অধিকাংশক্ষেত্রে এসব সার কিনে কৃষকেরা প্রতারিত হলেও ব্যবসায়ী ও কতিপয় কৃষি কর্মকর্তার পকেট ভারী হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদিত সার ব্যবসায়ী ব্যতিত খোলাবাজারে সার বিক্রির কোনো সুযোগ নাই। কিন্ত্ত এই কীটনাশক ব্যবসায়ী ক্রয় রশিদ ব্যতিত চোরাপথে বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকের ট্রাক সার এনে মজুদ ও অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। এতে বিপাকে পড়েছে অনুমোদিত বৈধ সার ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছে, অনুমোদন ব্যতিত যদি সার বিক্রি করা যায়, তাহলে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে তাদের অনুমোদন নেয়ার কি প্রয়োজন ছিল।
এদিকে গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় চৌবাড়িয়া বাজারে সরেজমিন দেখা গেছে, কীটনাশক ব্যবসায়ীর দোকানে এক ট্রাক ইউরিয়া সার নামানো হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স শাহীনুর টেড্রার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মাইনুল ইসলাম বলেন, সার ছাড়া কীটনাশক ব্যবসা করা যায় না, এজন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে সার কিনে আনা হয়। তবে বেশী দামে সার বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে  জানতে চাইলে  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, অনুমোদিত ডিলার ব্যতিত সার বিক্রির সুযোগ নাই সত্যি, তবে সব নিয়ম-নীতি শতভাগ কাজ করা দুরুহ। তবে এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হবে।#
One thought on “অবৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ সার বাণিজ্যে ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *