,চৌগাছা(যশোর) প্রতিনিধি:যশোরের চৌগাছায় রুহুল আমিন নামে এক কৃষকের আঙ্গুর চাষ করে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে।
চৌগাছা পৌর সভার বেলেমাঠ গ্রামের মঈনুদ্দিনের ছেলে কৃষক রুহুল আমিন (২৮)। তিনি প্রায় দুই বছর আগে ইউটিউবে আঙ্গুর চাষ দেখে পরীক্ষামূলকভাবে আঙ্গুর চাষ শুরু করেন।
এখন তার ক্ষেতে রোপণ করা গাছে গাছে এখন শুধু আঙ্গুর ঝুঁলছে। সেখানে তার আঙ্গুর ক্ষেত দেখতে অসংখ্য মানুষ আসছেন।এ অঞ্চলের অনেকের এখন তার দেখাদেখি আঙ্গুর চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষক রুহুল আমিন জানালেন,তিনি চলতি মৌসুমে দশ কাটা জমি হতে প্রায় চল্লিশ মন আঙ্গুর বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন।
তিনি প্রথমে ঝিনাদাহ জেলার মহেশপুর উপজেলা থেকে ৩৬টি আঙ্গুরর চারা ৫০০ টাকা পিচ দরে ক্রয় করেন এবং নিকট এক আত্মীয়র মাধ্যমে ভারত হতে আরও দুইটি চারা ক্রয় করে ১০ কাটা জমিতে বপন করেন। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ৩৮টি গাছ হতে এবছর তিনি ৪০ মন আঙ্গুর বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন।
সরেজমিনে আঙ্গুর ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায় ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক রুহুল আমিন।
এ সময় তিনি জানান, ধান, পাট, শাক-সবজি চাষে কৃষক লাভবান খুবই কম হয়ে থাকেন। তাই ভিন্ন কিছু চাষাবাদ করার ইচ্ছা পোষণ হতেই আজকের সাফল্য।
তিনি বলেন, নিজের কোন জায়গা জমি নেই, পরের নিকট হতে লিজ নিয়ে চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করি। প্রায় তিন বছর আগে আড়াই বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করে প্রথম ফলনে ১৪ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করেছি। ওই টাকায় কিছু জমি কিনেছি। এবছর আরও আড়াই বিঘা জমিতে ড্রাগনের চাষ করেছি।
ড্রাগন আছে ৫ বিঘা, কুল চাষ করেছি ১ বিঘা জমিতে আর সম্পূর্ণ নতুন চাষ হচ্ছে আঙ্গুর, ১০ কাটা জমিতে আঙ্গুর চাষ করেছি।
টক বা মিষ্টি এমনটি ভাবছি না তবে জৈষ্ঠ্যমাসে আঙ্গুর পাকা শুরু হবে তখন প্রতিটি আঙ্গুরই মিষ্টি হবে বলে তিনি মনে করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশাব্বির হোসাইন বলেন, চৌগাছা এলাকায় শখের বশে অনেকেই আঙ্গুর লাগান তবে সম্প্রতি সময়ে বেশ কয়েকজন কৃষক বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু করেছেন।
আমরা সর্বদা খোজ খবর রাখছি, কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে ওই কৃষককে তাৎক্ষনিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।