,চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি॥ যশোরের চৌগাছায় যুগযুগ ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহি পীর বলুহ মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা আজও কাটেনি।আজ মঙ্গলবার হতে শুরু হওয়ার কথা মেলা।

সরকারী ভাবে কোন অনুমোদন না পেলেও দুর দুরান্তের ব্যবসায়ীরা মেলা স্থলে হাজির হয়েছেন
ব্যবসায়ীরা।

প্রতি বছর বাংলা সনের ভাদ্র মাসের শেষ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় বলুহ মেলা।

পীর বলুহ দেওয়ান (রঃ) রওজা শরিফকে ঘিরে অনু ষ্ঠিত এ মেলা চলে অন্তত ১৫ দিন ধরে।

প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শেষ মঙ্গল বারের এক সপ্তা হ আগে সরকার হতে মেলার অনু মতি মেলে কিন্তু ভিন্ন দৃশ্য এ বছর।

আজ থেকে মেলা শুরুর কথা হলেও সরকার থেকে অনুমতি মেলেনি বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার ম্যান শাহীনুর রহমান শাহিন বলেন, মেলার অনুমতি হয়েছে দশ দিনের। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজ হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা বলেন, মেলার অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্ঠ গ্রামবাসি আবেদন করার পর সেটি আমি জেলা প্রশাসক মহোদয় বরা বর পাঠিয়ে দিয়েছি।

কিন্তু মেলার অনুমতি মিলেছে কিনা সেটি আমার জানা নেই।

ঐতিহ্যবাহি এই পীর বলুহ মেলা কত বছর আগে থেকে চলে আসছে তা এলাকার ১শ বছর বয়সের মানুষও সঠিক ভাবে বলতে পারেননা।

তবে প্রতি বছর বাংলা সনের ভাদ্র মাসের শেষ মঙ্গ ল বার এলেই শুরু হয়ে যায় মেলা। তা একাধারে ১৫/ ২০ দিন চলে।

বিগত বছর গুলোতে মেলায় আয় ব্যয় নিয়ে তেমন কোন প্রশ্ন ছিলনা। তবে দুই হাজার সালের পর হতে এই মেলা যেন অবৈধ রোজগারের একটি ঠিকানায়
পরিনত হয়। যখন যে পেরেছে মেলাকে পুঁজি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

করোনার আগ পর্যন্ত কোটি কোটি টাকা ব্যবসা হয়ে ছে মেলাকে কেন্দ্র করে অভিযোগ স্থানীয়দের।

কিন্তু কোন টাকার হিসেব নেই মেলা পরিচালনা কমিটির কারও কাছে।

যে রওজা শরিফকে ঘিরে বসে মেলা সেখানেও কোন অর্থ দেয়না মেলা কমিটি এমন অভিযোগ আছে রওজা কমিটির পক্ষ হতে।

বিনা পুঁজিতে বছরে এক সপ্তাহে লাখ লাখ টাকার মালিক হওয়া মানে অনেক ব্যাপার।

তাই প্রতি বছর মেলার সময় এলে পরিচালনার জন্য একাধিক কমিটি অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরেদৌড় ঝাপ শুরু করেন।

এ বছরও দুই দ্রুপের নেতারা বিভক্ত হয়ে চেষ্টা তদবির অব্যহত রেখেছেন, তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন গ্রুপই সরকারী অনুমোদন পাইনি বলে জানা গেছে।

হাজরাখানা গ্রামের বাসিন্দা বিএম বাবুল আক্তার, আব্দুর রহমানসহ একাধিক ব্যাক্তি বলেন, মেলা আমাদের হৃদয়ের সাথে মিশে আছে।

সেই ছোট বেলা হতে প্রানের মেলা দেখে আসছি। আজ মেলা বসবে না এমন খবরে অনেক কষ্ট লাগছে। সকল ভেদাভেদ ভুলে যাতে মেলা চলে সেদিক সকলেরনসুদৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে গ্রামবাাসি মনে করছেন।

এ দিকে মেলায় ইতোমধ্যে কাঠের তৈরী আসবা বপত্র সহ হরেক রকমের পন্য সামগ্রীতে ভরে উঠে ছে, দর্শনার্থীরাও আসতে ভুল করেনি।

কিন্তু সকলের মাঝে রয়েছে মেলা হওয়া না হওয়া নিয়ে আতংক।

মিষ্টির দোকান দিয়েছেন মাগুরা জেলার রানা, নরসিংদি জেলার ফারুক হোসেন, শিশু খেলনার দোকান দিয়েছেন বগুড়ার সাইদুল সহ অনেক ব্যব সায়ী জানান,মেলা না বসলে আমরা আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে যাব।

একই কথা বলেন জীবননগরের রাব্বি, সিরাজ গঞ্জের সানাউল্লাহ, শরীয়তপুরের আব্দুল হক প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *