মোঃ মনসুর আলী,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ আদমদীঘিতে একটি খাল পুনঃখনন কাজে জালিয়াতির মাধ্যমে ৮ লাখ টাকা উত্তোলন। এবার আরোও প্রায় তিনগুন নতুন করে টাকা উত্তোলন করার প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আদমদীঘিতে খাল খননে আনিয়ম দুনীর্তি কাদা কেটে অর্ধ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে শিরোনামে ২০২১ সালের ৪ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে সচিত্রসহ সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদ প্রকারে পর তাৎক্ষনিক তদন্তে প্রকাশিত খবরের সত্যতা পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেয় এলজিইডি বগুড়া’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ। দুই বছর পুর্বে বন্ধ করে দেওয়া সেই প্রকল্পের সরকারি টাকা ফের প্রদান করার মাধ্যমে এক চক্রের জালিয়াতি জায়েজ করাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এলজিইডি।

এর পুর্বে প্রদত্ত আট লাখ টাকা মোসলেম উদ্দিন নামক এক ব্যক্তি ১২ ব্যাংক এ্যাকাউন্ট মাধ্যমে তুলে নিয়েছেন। প্রায় ৬০ লাখ টাকার খাল খনন প্রকল্পের কাজ অর্ধেক হয়েছে দেখিয়ে এলজিইডি থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকা প্রদান করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।

জানাযায়, একটি নয় দুইটি নয়, জালিয়াতির মাধ্যমে আদমদীঘি পাশের দুপচাচিয়া উপজেলায় অগ্রণী ব্যাংক শাখায় ১২ এ্যাকাউন্ট খোলেন মোসলেম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। মোসলেম উদ্দিন আমইল-ইন্দইল খালের পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি(পাবসস)’র সাবেক সম্পাদক। তিনি যে সব ব্যক্তির নামে এ্যাকাউন্ট খুলেছেন তারা কেউ পাবসস’র সদস্য ছিল না। বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলা এবং টাকা তোলা বিষয়ে কিছুই জানে না বলে এ্যাকাউন্ট নামীয় ২১ ব্যক্তি পাবসস বর্তমান কমিটির সভাপতি বরাবরে লিখিত দিয়েছেন।

এর প্রেক্ষিতে সভাপতি মোমেনুর রহমান তালুকদার মিম জাল এ্যাকাউন্ট বিষয়ে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেন। কিন্তু তিন মাসেও কোন সাড়া মেলেনি। পরবর্তীতে ৩ এপ্রিল/২৩ এ্যাকাউন্ট নামীয় ব্যক্তিরা ব্যাংকে গিয়ে নিশ্চিত করেছেন যে তারা এ্যাকাউন্ট খোলেননি এবং টাকাও তোলেননি। টাকা তোলার চেকে সবার সাক্ষর থাকলেও তাদের অনেকে লিখতেই জানে না। পাবসস’র নির্বাচিত বর্তমান কমিটির সভাপতি বলেন, ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে পাবসসের মোত্তাকিন-মোসলেম কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

কিন্তু কমিটি বহাল দেখিয়ে মোসলেম উদ্দিন কাগজে-কলমে সভা করা ও সভায় খাল খনন প্রকল্প গ্রহনের সিদ্ধান্ত দেখায়। কথিত সভায় সভাপতি হিসাবে মোত্তাকিন তালুকদারকে উপস্থিত দেখানো হলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না, তার স্বাক্ষর জাল। জালিয়াতি করে করা সভায় খাল খননের জন্য তিনশ’ শ্রমিক পরিচালনার জন্য ১২ এলসিএস (লেবার কন্ট্রাক্টিং সোসাইটি) গঠন করা এবং এলসিএস’র সভাপতি/সম্পাদক মিলে ২৪জনকে পাবসস সদস্য দেখানো হয়।

কিন্তু ২১জন পাবসস সদস্য ছিল না। ওই ২১ ব্যক্তি জানান, সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা বলে মোসলেম মেম্বার আমাদের এনআইডির ফটোকপি ও ছবি নেয় এবং নগদ পাঁচশ’ করে টাকা দেয়। পরে জানতে পারি যে, তিনি আমাদের নামে এ্যাকাউন্ট খুলে দুই দফায় আট লাখ ১০হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন। ব্যাংকের বর্তমান ম্যানেজার সাঈদ সাব্বির আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ বলেন, মরিয়া হওয়ার কোন কারন নেই।

কাজ করা হলে আমি টাকা দিতে বাধ্য। জাল-জালিয়াতির বিষয়ে অবগত হয়েছি। শেষ হওয়া প্রায় ৬০ ভাগ কাজের পাওনা মজুরি গ্রহন এবং অবশিষ্ট খনন কাজ শেষ করার জন্য নতুন কমিটিকে আদমদীঘিতে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলতে তাগাদা দিয়েছি মাত্র। মোসলেম উদ্দিন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। #

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *