বিশেষ প্রতিনিধি:
তহীদ মনি : যশোরে আদালতে মামলার অর্ধেকের বেশিই মাদক সংক্রান্ত। জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এ উত্থাপিত পরিসংখ্যানই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সীমান্তবর্তি

মার্চ মাসের মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় জানানো হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে জেলায় বিভিন্ন অপরাধে ৩১৮টি মামলা হয়েছে এর মধ্যে ১৬৪টিই ছিল মাদক সংক্রান্ত। জানুয়ারি মাসে ২৮০টি মামলার মধ্যে মাদক সংক্রান্ত ছিল ১৪৯টি। ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসেও মাদক মামলার চিত্র ছিল অনুরূপ । ওই সময় ৩৭২ টি মামলার মধ্যে মাদকের মামলাই ছিল ২৫০টি।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ছলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ২১০টি অভিযান পরিচালনা করে ৭০টি মামলা দায়ের এবং ৭৫জনকে আসামি করা হয়েছে। এ সময় গাঁজা, ফেনসিডিল, তাড়ি, ভারতীয় মদ, ইয়াবা ও হেরোইন উদ্ধার করা হয়। গত বছরের একই মাসে ৩০টি মামলা করে অধিদপ্তর। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ২৩২টি অভিযান পরিচালনা করে। এ মাসে ৬৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয় ৬৮টি । এ মাসে গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গতবছর একই মাসে অধিদপ্তর মাদক সংক্রান্ত মামলা করেছিল ৩৩টি ।

মামলার এ পরিসংখ্যান বলছে মাদক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চললেও বিস্তার থেমে নেই। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় মাদক ছড়িয়ে পড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও। জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকের বিস্তার ঘটার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়। মিটিং বলা হয়, সিটি কলেজ, এমএম কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, যশোর সরকারি কলেজ ও টিচার ট্রেনিং কলেজ ক্যাম্পাসে মাদকের কেনা-বেচা, সেবন হচ্ছে। শিক্ষার্থী মাদকে আসক্ত হওয়ার বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা শিক্ষকরা স্বীকারও করেন। এ নিয়ে সভায় আলোচকরা উদ্বেগও প্রকাশ করেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর জানান, জেলায় মাদক বন্ধে তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতি নিয়তই তাদের অভিযান চলছে। মামলা, আটক-জব্দ চলছে, তবে তাদের জনবল ও অস্ত্রবল কম। ফেনসিডিল ভারত সীমান্ত পেরিয়ে আসে, সীমান্ত পার না হতে পারলে এটা ছড়িয়ে পড়তে পারে না। তেমনি ইয়াবা আসে মিয়ানমার থেকে সেটিও বাংলাদেশে ঢুকতে না পারলে যশোর পর্যন্ত আসতো না। এ জন্য মাদক পাচার রোধে তিনি তিনি সীমান্তে কঠোরতা দাবি করেন।

তিনি বলেন, যশোরে গাঁজার চাষও হয় না। যশোরে গাঁজা আসে বিভিন্ন সীমান্ত পেরিয়ে। এরপর ছাড়িয়ে পড়ছে জেলার অলিগলিতে। যা রোধ করারমত লোকবল তাদের নেই। তারমতে জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্যে আগে প্রবেশ বন্ধ করা দরকার। তাহলে ছড়িয়ে পড়া রোধ করাও সহজ হবে।

, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনী মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলেই আটক ও উদ্ধার বেশি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *