রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ ছাত্র-জনতার আ ন্দোলনে ২ হাজার মানুষকে খুন করেছে শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে সব রকমভাবে আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত করার কারণে আমাদের জেলে রাখা হয়েছে। নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপ জেলা ঈদগাহ ময়দান মাঠে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীকে ক্ষমা করেন না। তিনি যাকে খুশি মালিক বানান, আবার যাকে খুশি ফকির বানিয়ে দেন।
শেখ হাসিনা নিজেকে রাজরানী মনে করেছিল। তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। গণভবনে ছাত্র-জনতার আগ মন দেখে ভয়ে হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়েছেন।
প্রভাবশালী হাসিনা ভয়ে ভারতে গিয়ে করুণ অবস্থায় আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি নিজে এগারোবার কারাবরণ করেছি। যারা আমাদের ওপর নির্যাতন করেছে, আমাদের শাসন করে ছে, জমি দখল করেছে তারা এখন জেলে। বিএনপি-জামায়া তের মানুষদের নির্যাতন করার জন্য তারা আয়নাঘর বানিয়ে ছিলেন। গোলাম আজমের ছেলে আজমীকে ৮ বছর ধরে আয়নাঘরে নির্যাতন করেছে।
আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে তারা গুম করেছে। এখনো অনেক মানুষের খবর আমরা পাইনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত সীমান্তে আমাদের গুলি করে। আমরা ভালোভাবে থাকতে চাই। তবে গুলি করলে প্রতিবাদ করা হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে।
আমাদের সবার কাছে প্রিয় হতে হবে। আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করলে তাদের মতোই আমাদের পরিণতি হবে।
ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে তিনি বলেন, উনি বলতেন পালা বেন না। পালালে দেশের বাইরে যাবেন না, আমার বাসায় আসবেন। এখন তিনি কোথায় চলে গেছেন তা দেশবাসীও জানে না। এই দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ছিলেন বলেই আজ পালিয়ে যেতে হয়েছে।
এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দীন, সাধা রণ সম্পাদক আবু তাহেরসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগ ঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।