সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: দুবলার চর এলাকার বাহির সমুদ্র থেকে অপহৃত ১৫ জেলের মধ্যে ৯জনকে মুক্তি দিয়েছে ডাকাতরা।
অপহরনের ১৭দিন পর মাথাপিছু ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে জেলেদের চোখ বেধে বুধবার রাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ এলাকায় জঙ্গল থেকে উপরে উঠিয়ে দিয়ে যায় ডাকাতরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত ৩টার দিকে তারা বাড়িতে পৌছায়।
মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা জেলেদের মধ্যে ৭জনের বাড়ি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে। একজনের বাড়ি শ্যামনগরে ও অরেকজনের বাড়ি খুলনায়।
ফিরে আসা জেলেরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভদ্রাকাটি গ্রা মের মোঃ দাউদ আলী সানার ছেলে অজাহারুল ইসলাম, রুইয়ারবিল গ্রামের জুলফিকার সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেন, একই গ্রামের শহর আলী গাজীর ছেলে হাফিজুর রহমান, আব্দুল হক সানার ছেলে মোঃ শাহীনুর আলম, দিঘালারাইট গ্রামের মোঃ আবু দাউদ জদ্দারের ছেলে মোঃ রাসেল, শ্রীপু র গ্রামের মোঃ রুহুল আমিন ঢালির ছেলে মোঃ শাহাজা ন ঢালী ও দৃষ্টিনন্দন গ্রামের মোঃ আনিচ সর দারের ছেলে নুরে আলম এবং শ্যামনগর উপজে লার বন্যত লা গ্রামের আবু তালেব এর ছেলে শাহ্ আলম সহ ৯জন।
মুক্তিপনের টাকা দিতে না পারায় বাকি ছয়জনকে এখনো আটক রেখেছে ডাকাতারা।
এদের মধ্যে সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগর ইউ নিয়নের চাকলা গ্রামের মোঃ মহিজুদ্দিন বিশ্বাসে র ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,একই গ্রামের মোঃ নুরমা ন আলী সরদারের ছেলে অরাফাত হোসেন ও শামছুর রহমান গাজীর ছেলে শাহাজান গাজী।
অপহৃত চাকলা গ্রামের শাহাজান গাজীর স্ত্রী নাজমা খাতুন জানান, স্বামী বাড়ি আসছে খবর পেয়ে গত কাল রাত ৩টা পর্যন্ত জেগে বেড়িবাঁধের উপর বসে ছিলাম।
কিন্তু প্রতাপনগরের সাতজন আসলেও আমার স্বামী সহ আমাদের চাকলা গ্রামের তিন জন ফিরে আসে নি।
এত টাকা আমার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব না। তিনি স্বামীকে মুক্ত করে আনার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর গোলাম রসুল জানান, মাথাপিছু ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে অপ হৃত ১৫ জেলের মধ্যে ৯জনকে মুক্তি দিয়েছে ডাকা তরা।
বাকি ৬ জনের মধ্যে আমার গ্রামের তিনজন রয়ে ছে। মুক্তিপনের টাকা দিতে না পারায় তাদেরকে এখনো জিম্মি করে রেখেছে ডাকাতরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতাপনগর গ্রমের এক ব্যক্তি বলেন, সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও কোস্টগার্ড, র্যাব, বন বিভাগ,পুলিশ কার কী ভূমিকা ছিল? কেন গত ৩ সপ্তা হে ডাকাতের ধারে কাছেও যেতে পারেনি এসব বাহি নী সদস্যরা?
অথচ জেলেদের পরিবার নিয়মিত মোবাইলে ডাকা তদের সাথে যোগাযোযোগ ও বিকা শে মুক্তিপণের টাকা লেনদেন করেছে।
তাহলে কেন তাদের কাছে যেতে পারলনা সরকারি বাহিনী গুলো? বাকিদের ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি প্রশাস নকে তৎপর হওয়ার আহবান জানান।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউ দ ঢালী তার ইউনিয়নের সাতজন জেলে ফিরে আসা র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাকিদের কা ছে নৌ কা থাকায় এবং মুক্তিপনের টাকা পরিশোধ না হও য়ায় ডাকাতরা তাদেরকে ছাড়েনি।
প্রসঙ্গতঃ গত ২৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ভোর ৬টার দকে সুন্দরবনের ডাকাত দয়াল বাহিনী সদস্য রা সুন্দরবনের দুবলার চরের নিরীহ জেলেদের উপর আক্রমণ করে।
এসময় দুঃসাহসী জেলেরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে ডাকাতদেরকে প্রতিহতের চেষ্টা করে এবং একই সাথে দুবলার চরের কোস্ট গার্ড স্টেশনে সাহায্য চেয়ে ফোন করে।
ডাকাতদের সাথে জেলেদের হাতাহাতির একপর্যায়ে জেলেরা তিন ডাকাতকে জাল দিয়ে ধরে ফেলে।
কিন্তু এসময় ডাকাতরা সেখান থেকে ১৫ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়।
আপহরণের পর মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছে ৯ জেলে
By