গত সোমবার রিমান্ড শুনানী শেষে বিচারক মোঃ সালাহউদ্দিন তাকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার বিকালে আদালত থেকে তাকে আশাশুনি থানায় আনা হয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নোমান হোসেন জানান, মামলায় ১নং সাক্ষী হিসেবে বাবুল আক্তার মোল্লার নাম থাকলেও জিজ্ঞাসাবাদে ও ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে সে নিজে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে প্রতীয়মান হয়।
ফলে আদালত তাকে মামলার আসামী শ্রেণীভুক্ত করার আদেশ দেন। সোমবার বিকালে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে বাবুল আক্তারকে আদালত থেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ গত ২০ জানুয়ারি সোমবার একটি পুকুর থেকে অন্য পুকুরে জল সরানোর সময় মাছ লাফ দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী মালেক ও অহিদের সাথে অনিমেষের বিরোধ হয়।
একপর্যায়ে অনিমেষকে মারপিট করেন অহিদ মল্লিক ও তার ভাই শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক মালেক মল্লিক।
সেখানে শালিসদাররা শালিসের ভার মালেক মল্লি কের উপর চাপিয়ে দিয়ে তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন। একপর্যায়ে অনিমেষের মুখে ঘুষি মেরে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেন অহিদ মল্লিক।
এঘটনার পর অনিমেষ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দোকান থেকে ঘের হয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় রাতে বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজা খুঁজি করেন।
একপর্যায়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের বাবুল আক্তার মোল্লার নিম গাছে নাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় অনিমেষের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় তারা।