সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মোছাঃ কমলা খাতুন (৫৫) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্র বার সকালে উপজেলার দক্ষিন দরগাহপুরগ্রামের নিজ বাড়ির অঙিনায় বিচলী গাদার পাশ থেকে এই মরেদহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের স্বামী ও তিন ছেলে ও তাদের স্ত্রী সহ সাতজনকে আটক করেছে।
নিহত গৃহবধূর মোছাঃ কমলা খাতুন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিন দরগাহপুর গ্রামের মোঃ মোবারক আলী গাজীর স্ত্রী।
নিহতের স্বামী মোবারক আলী গাজী জানান, ফজরের আ যান দিলে তিনি তার স্ত্রী কমলা খাতুনকে নামাজ পড়ার জন্য ডেকে দিয়ে বাড়ির পাশে মাছের ঘেরে চলে যান।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন তার স্ত্রী ঘরে নেই। পরবর্তীতে খোঁজাখুজির এক পর্যায় নিজ বসত বাড়ির পাশে বিচলী গাদার পাশে গলাকাট মৃত অবস্থায় দেখ তে পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে আশাশুনি থানায় খবর দেয়া হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত গৃহবধূর দুই ছেলে মোঃ ওলিউর রহমান (২৪) ও মোঃ ফয়জুল্লাহ (২১) মাছের ঘের ও ভাটায় কাজ করে। তারা দু’জনেই বিবাহিত। পারিবারিক কলহের জের ধরে গ্রহবধূকে জবাই করে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। নিহত গৃহবধূ ৪/৫ বছর ধরে মেরুদন্ডের ব্যাথার রোগে আক্রান্ত ছি লেন।
মোবারক আলী গাজীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিল নিহত কমলা খাতুন। পারিবারিক কলহের কারনে দু’জন আলাদা ঘরে ঘুমা তেন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নজরুল ইস লাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কি কারণে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মোবারক আলী গাজী, তার প্রথম পক্ষের ছেলে খান জাহন আলী, দ্বিতীয় পক্ষের দুই ছেলে ওলিউর রহমান ও ফয়জুল্লাহসহ তাদের তিনজনের স্ত্রীকে থানায় আনা হয়েছে।
এদিকে সুরহতাল রির্পোট শেষে নিহতের মরদেহ ময়না তদ ন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়ে ছে। এঘটনায় থানায় এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান ওসি।