সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কলারোয়ার চাঞ্চল্যকর ব্যাংক কর্মকর্তা হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমিনুর সরদারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রোববার (৭ মে) রাতে র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সদস্যরা টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।

সোমবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর জে.এম গালিব হোসেন এক প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃত আসামির নাম আমিনুর সরদার (৫০)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার মৃত বজলে সরদারের ছেলে।

তিনি জানান, চলতি বছরের গত ৪ এপ্রিল কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের শাহানারা খাতুনকে পূর্বশত্রুতার জেরে আসামি আমিনুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিরা এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম করে।

এ সময় চাচী শাহানারা খাতুনকে বাঁচাতে ইসলামী ব্যংকের এজেন্ট শাখার কর্মকর্তা শাহিন গাজী এগিয়ে আসেন। তখন আসামি আমিনুর সরদার ধারালো হাসুয়া দিয়ে তাকে কুপিয়ে মাথায় ও পায়ে গুরুতর জখম করে।

এক পর্যায়ে  লোকজন গুরুতর আহত  ব্যাংক কর্মকর্তা শাহিন গাজীকে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলে হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেও তার অব¯’ার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে দীর্ঘ ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১০ এপ্রিল মারা যান ব্যাংক কর্মকর্তা শাহিন গাজী।

এ ঘটনায় নিহত শাহিন গাজীর চাচা ইমন গাজী বাদী হয়ে পরদিন ঘাতক আমিনুর সরদার ও তার স্ত্রী মাহফুজা খাতুনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর পর থেকে আসামিরা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন ¯’ানে আত্মগোপনে থাকে।

এদিকে, এ ঘটনায় উক্ত মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবীতে  এলাকাবাসী মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারের পর জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরপর র‌্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল এ হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখে।

একপর্যায়ে র‌্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ মামলার প্রধান আসামি আমিনুর সরদার ঢাকা থেকে রংপুরে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে গ্রেফতার করেন। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *