Related Articles
মো: ফজলুল হক,পাবনা
ঢাকঢোল ও কাঁসার বাজনার তালে নাচছে লাঠিয়ালরা। লাঠির কসরতে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে রক্ষা ও প্র।তিহতের উন্মাদনা।
এ যেন লড়াই ও মুগ্ধতার দৃশ্য যা দেখতে ভিড় করেছে হা।জারো মানুষ। এই গ্রামীণ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে পাব না সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খানের উদ্যোগে ভাঁড়ারা সুইসগেট এলাকায় এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকাবাসীরা জানান, একটা সময় ভাঁড়ারা ভয় ও আ তঙ্কের নগরী হিসেবে অধিক পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন সেখানে মাঝে মাঝেই লাঠিখেলা ও পালা গানসহ অনু ষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী নানা আয়োজন।
ঢাক ঢোলের বাজনায় ও গানের তালে তালে এ লাঠি দি য়ে চলছে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ।
প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কেউ কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তালে তালে। হাতে তালি ও হই হুল্লোড়ে লাঠিয়ালদের উৎসাহ জোগাচ্ছেন হাজারো দর্শক।
ব্যাপক জনসমাগমের উপলক্ষে আশপাশে শিশুদের জন্য নাগরদোলাসহ বিভিন্ন রাইড বসেছে। বসেছে খেলনা ও খাবারের বাহারি দোকান। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনকে ঘিরে এ যেন এক উৎসবের আমেজ।
আয়োজকরা জানান, আশপাশ ও দূরদুরান্তের সাতটি লা ঠিয়াল দল এ খেলায় অংশ নিয়েছে লাঠিয়াল ও গ্রামবা সীর জন্য আয়োজন করা হয়েছে প্রীতিভোজের আয়া জন।
খেলা দেখতে আসা সুজাত আলী বলেন, ছোটবেলায় দে।খেছি এই খেলা, খুব নিয়ম করেই আয়োজন করা হতো।
সারাদিনের সব কাজ শেষ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাতেই এই আয়োজন হতো। কিন্তু এখন একেবারেই দেখা যায় না। অনেক দিন পর এরকম আয়োজন হচ্ছে শুনে দেখতে এসেছি। ঢাক-ঢোলের তালে তালে লাঠির লড়াই ভালোই লাগছে।
এ বিষয়ে ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ য়োজক সুলতান মাহমুদ খান বলেন, একটা সময় ভাঁড়ারা ভয়ের নাম ছিল। আর এখন এখানে আনন্দ উল্লাশ হয়।
তবে শুধু লা ঠিখে।লাই নয়, পানিতে হাঁস ধরা ও হাডুডু খেলাও রয়েছে।
মাঝে মাঝেই গানের আসরে বসে মন খুলে গান শুনবে স বাই। আমি চাই ভাঁড়ারার মানুষ আর ভয়ে দিন পার কর বে না।
তরুণরা মাদক ও মোবাইলে অতি আসক্ত হওয়ার পরি বর্তে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির মধ্যে থাকলে শরীর ও মন ভালো থাকবে। এজন্য সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
মো
Bartabd24.com সব খবর সবার আগে