নিজস্ব প্রতিবেদক, (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছা র ঐতিহ্য বাহি মর্জাদ বাওড়ের ১’শ ৯ একর জমি দখলের পায়াতার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যে বাওড়ের শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে ট্রাকটর দিয়ে চষা হয়েছে।
বাওড়ের জমি দখল মুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে বাওড় ব্যব স্থাপক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভি যোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানান গেছে, মর্যাদ বাওড়ের তেঘরী গ্রামের অংশে ত্রিশ একর জমিতে ৮টি ও পাতিবি লা মৌজায় ৭৯ দশমিক ৪৪ একর জমি দীর্ঘদিন স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারা দখল ছিলো।
বাওড় ব্যাবস্থাক শফিকুল ইসলাম ২০২২ সালের জুন মাসে যোগদান করার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই জমি দখল মুক্ত করা হয়।
বর্তমানে অনাবৃষ্টির কারণে পুকুর এবং বাওড় সংলগ্ন জমি শুকনো থাকায় মাছ চাষ করা সম্ভবপর হচ্ছে না।
তবে বিকল্প উপায়ে পুকুর এবং বাওড় সংলগ্ন জমি মাছ চাষের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
ইতোমধ্যে সহকারী কমিশ নার (ভূমি) এর সহযোগিতায় সরকারি সার্ভেয়ার, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এবং আমিন এর মাধ্যমে ১০৯.৪৪ একর জমি সীমানা নির্ধারণ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। কিন্তু পুকুর এবং বাওড় সংলগ্ন জমি শুকনো থাকায় প্রভাব শালী মহল আবারো জমি দখল করে কৃষি ফসল চাষ করার পায়তারা করছে।
অভিযোগে বলা হয় তেঘরী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন ২ ও ৪ নং পুকুর এবং পাতিবিলা গ্রামের টিটো ৩ নং পুকুর দখল করে জমি চাষ করেছে।
এছাড়া আরো অনেকে পুকুর ও বাওড় সংলগ্ন জমি দখল করে চাষ করছে। পুকুর এবং বাওড় সংলগ্ন জমি সরকারী সম্পত্তি বিধায় কোন ভাবেই ইজারা, দখল বা কৃষি ফসল চাষ করা যাবে না বলে তেঘরী এবং পাতিবিলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের বার বার সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও
তাদেরকে সরকারী জমি সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ বন্ধ করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে পাতিবিলা গ্রামের টিটো বলেন ১০ কাঠা মত শরিষা চাষ করেছি। আমি একা না অনেকেই করেছে।
তিনি বলেন জমিগুলো পড়ে আছে। তাই ভাবলাম কিছু চাষ করি। তেহরী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, একটা পুকুর আমার দখলে আছে।
আগের ম্যানেজারের কাছে চুক্তিভি ত্তিক টাকা দিতাম।
বর্তমানচৌগাছার মম্যানেজার সেটা নিচ্ছেনা। তিনি বলেছেন বাওড়ের জমি ছেড়ে দিতে হবে। দখলে রাখা যাবেনা। সে কারনে আমি কোন চাষ করিনি।
বাওড় ব্যবস্থাপক মুহঃ শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মর্যাদ বাওড় সংলগ্ন তেঘরী ও পাতি বিলা গস্খামবাসিকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে।
এমনকি জমির এরিয়া নির্ধারণের জন্য সরকারীভাবে মাপের দিনও বলা হয়েছে এই সরকারি সম্পত্তি দখল করাআইননত দ-নীয় অপরাধ। তারপরও অনেকে দখল অব্য হত রেখেছে। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে উপজেলা প্রশাস নকে জানিয়ে ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা বলেন,সরকারি সম্পত্তি দখলের কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সবার সহোযোগীতা প্রয়োজন।