আকিমুল ইসলাম,চুয়াডাঙ্গাপ্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বুধবার রাতের ১০ মিনিটের কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা-বৃষ্টিতে বিএডিসির দত্তনগর কৃষি ফার্মের ৫টি বীজ উৎপাদন খামারের ১১৫৫ একর ক্ষেতের বীজধান মাটির সাথে মিশে গেছে। এ ছাড়াও আমসহ ব্যপক ক্ষতিসাধান হয়েছে ভূট্টাসহ উঠতি ফসলের।
বিএডিসির দত্তনগরের ৫টি বীজ উৎপাদন খামারের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১১ কোটি টাকা। এ ছাড়াও যাদবপুর, গঙ্গাদাসপুর, পাথিলা, সুটিয়া, সোন্দাহ, করিমপুর ও তারানিবাস মাঠের ২৫ হেক্টর জমির ধান শিলা-বৃষ্টির কবলে পড়েছে। এর মধ্যে ১০ হেক্টর জমির ধান মাটির সাথে মিশে গেছে।
খবর পেয়ে বিএডিসিরঅতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (খামার) ফখরুল হাসান প্রধানসহ ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তাগণ গতকাল বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্থ ৫টি খামারের বীজ ধানের ক্ষেত পরিদর্শন করেন।
বিএডিসির পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারের উপপরিচালক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন মোল্লা জানান, ধান কাটা চলছে। এ অবস্থার মধ্যে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা-বৃষ্টিতে তার খামারের ২৬৬.৩২ একর জমির ধান সম্পূর্ণ রুপে মাটির সাথে মিশে গেছে।
এ ছটাক ধীন বীজও সংগ্রহ করার মত নেই। ক্ষতির পরিমাণ ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা। দত্তনগর ফার্মের জয়েন্ট ডাইরেক্টর মো. কামরুজ্জামান শাহিন জানান, পাথিলা খামার ছাড়াও মথুরা ও গোকুলনগর খামারে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। মথুরা খামারে ২৭৮ একর, গোকুলনগর খামারে ৩৯২ একর, করিঞ্চা ফার্মে ১৫২ একর ও কুশাডাঙ্গা ফার্মে ৯৫ একর জমির বীজ ধানের ক্ষতি হয়েছে। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১১ কোটি টাকা।
পরিদর্শনে আসা বিএডিসির অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (খামার) ফখরুল হাসান প্রধান বলেন, বীজ ধান ক্ষেতের যে ক্ষতি হয়েছে তাতে আগামীতে কিছুটা হলেও উফসি ও হাইব্রিড জাতের বীজের সংকট তৈরী হবে। জীবননগর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতিকুল আলম জানান, ঝড় ও শিলা-বৃষ্টিতে ২৫ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এর মধ্যে ১০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে। সেই সাথে ব্যপক ক্ষতিসাধন হয়েছে আম ও উঠতি ফসলের। সুটিয়া গ্রামের ধান চাষি আব্দুর রহমান জানান ঝড় ও শিলা-বৃষ্টিতে তার ৬ বিঘা জমির ধান মাটির সাথে মিশে গেছে।