পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর: কেশবপুরে ঈদের বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এই ভ্যাসপা গরমে যেন দমফেলানোর ফুরসত নেই কারো।
কেনাকাটায় সাধারণ মানুষের ভীড় বেড়েছে। এখনো অনেক দিন পর অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ঈদকে সামনে রেখে মানুষ ঈদের উৎসবে কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) কেশবপুর পৌর শহর, মঙ্গলকোট, পাঁজিয়া, সাগরদাঁড়িসহ বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটায় কিশোর, কিশোরদের সাথে নিয়ে নারী-পুরুষরা ভীড় জমাচ্ছে বাজারে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জুতার দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন জুতার দোকান থেকে পছন্দের জুতা কিনছেন অনেকে। ক্রেতারা বলছেন, পোশাকের পাশাপাশি ঈদে জুতা-স্যান্ডেল কিনতে হবে। সামনের দিনগুলোতে ভিড় বাড়বে। তাই আগে কেনাকাটার কাজটা সেরে নিচ্ছি।
কেশবপুরে আলিম সু-স্টোরের মালিক হাকিম বলেন, তার দোকানে সব শ্রেণির মেয়ে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের জুতার চাহিদা বেশি। সম্রাট-সুর কেশবপুরের ডিলার কার্তিক চন্দ্র বলেন, এবছর ঈদের বাজারে সাধারণ মানুষেরা কেনাকাটা আগে ভাগে শুরু দিয়েছেন।
কলেজছাত্রী বৃষ্টি খাতুন বলেন, মার্কেটে ঘুরছি। এখনও পোশাক পছন্দ করতে পারিনি। ঈদের আগ মুহূর্তে এসে কেনাকাটি করা সম্ভব না তাই আগে ভাগে এসে কিনছি কিন্তু এখনো বাজারে অনেক ভিড়।
ঈদের প্রায় ১২ দিন বাকি থাকলেও ঈদের বাজার আগেভাগে জমে উঠেছে। এখন সাধারণ মানুষের ভীড় বাড়ছে। এরপরে ঈদের কাছাকাছি সময়ে চাকুরীজীবীরা ঈদের বেতন-বোনাস পাওয়ার পর তাদেরকে ঈদের বাজারে দেখা মিলবে। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে ঈদের বাজারে মানুষের ভীড় ততই বেড়ে যাবে। তবে সব শ্রেণির মানুষের জুতার চাহিদা রয়েছে। অন্য দিকে এবার পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতা বেশি যাচ্ছে। সাংবাদিক রনি হোসেন জানান, কেশবপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। সারাদিন মার্কেটে ঘুরে যে তথ্য সংগ্রহ করেছি তাতে করে গত বছরের তুলনায় এবার মার্কেটে সময় অনুযায়ী লোকজন বেশি দেখা যাচ্ছে।
কেশবপুর, মঙ্গলকোট, পাঁজিয়া, সাগরদাঁড়িসহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরাও বেচাকেনার ভাব এবার ভালো মনে করছেন।
ঈদের আগে অনেক কৃষক তাদের কষ্টার্জিত ফসল ধান কাটতে পারবেন ফলে সময় সমকালে দিন গুলোতে বেশি ভীড় জমে উঠবে বলে তারা আশা প্রকাশ করছেন। আনন্দের মধ্য দিয়ে কাটুক ঈদ, এটাই সকলের প্রত্যাশা।