ডেস্ক নিউজ:দূর থেকে দেখলে মনে হবে ঘন নীল চোখ। এর তলের খোঁজ মেলে না। সমুদ্রবিজ্ঞানীরা বলেন, অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে সমুদ্রে তৈরি হওয়া গভীর রন্ধ্রে। একে বলে ব্লু হোল (নীল গর্ত)।
মধ্য আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলের বেলিজ সিটি এলাকায় এমন ব্লু হোল আছে যাকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। এমন আরও একটি গভীরতম ব্লু হোলের খোঁজ মিলল মেক্সিকোতে।
দ্য ওয়ালের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর চেটুমাল সাগরে ৯০০ ফুট গভীর এক গর্তের খোঁজ মিলেছে। যার আয়তন অন্তত এক লাখ ৪৭ হাজার বর্গফুট। মেরিন সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই প্রতিবেদন। বিজ্ঞানীরা এটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল বলে উল্লেখ করছেন।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের কোস্টাল মেরিন সায়েন্টিস্ট ক্রিস্টোফার জি স্মিথ বলেন, সমুদ্রের মাঝে বা কোনও দ্বীপের আশেপাশে দৈত্যাকার রন্ধ্রকে বলে ব্লু হোল।
সমুদ্রের স্বাভাবিক গভীরতার চেয়ে এই ব্লু হোলগুলোর গভীরতা অনেক বেশি হয়। বড়সড় গর্তের আকারের এই সব ব্লু হোলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌঁছয় না। ফলে এর গর্ভ অন্ধকার থাকে এবং তার জলকে দেখে মনে হয় অনেক বেশি গাঢ় নীল। এর ভেতরে অক্সিজেনও পৌঁছয় না।
১৯৭১ সালে সমুদ্রের মাঝে বেলিজ সিটি এলাকায় এমন ব্লু হোলের খোঁজ পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সমুদ্রের গাঢ় নীল পানির মধ্যে প্রবাল-শৈবাল দিয়ে ঘেরা সেই জায়গাটি দেখতে অনেকটা গর্তের মতো। ৪০০ ফুট গভীর সেই গর্তে অক্সিজেনের পরিবর্তে পানির মধ্যে ছিল হাইড্রোজেন সালফাইড। যে ডুবুরিরা রহস্য উদঘাটনে নেমেছিলেন তারা কেউ ফিরে আসেননি। পরে তাদের মৃতেহ উদ্ধার হয়।
মেক্সিকোর ব্লু হোলে এখনও অভিযান চালানো হয়নি। তবে এর গভীরে কী রহস্য লুকিয়ে আছে তা দেখতে শিগগিরই অভিযান চালাবেন ডুবুরিরা।