আকিমুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গায় অঞ্জলী রানী বিশ্বাস (৫০) নামের এক গৃহবধুকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
আজ (২০ সেপ্টেম্বর) রবিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ায় তাঁরা মসজিদের নিকট নিহতের বাড়িতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত অঞ্জলী রানী বিশ্বা স একই এলাকার নরসুন্দর গনেশ প্রামানিকের স্ত্রী।
হত্যার পর নিহতের বাড়ির ঘরের ভিতরে আলমারিতে রাখা ২লাখ টাকা ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে হত্যাকারী। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ঘটনায় সন্দেহজনক এক ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহত অঞ্জলী রানীর স্বামী গনেশ প্রামানিক কলেন, সদর উপজেলার আলুকদিয়া বাজারে আমার সেলুনের দোকান আছে। প্রতিদিনের মতো সকালের নাস্তা করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বেলা ১২টার দিকে খবর পেয়ে বাড়িতে আ সি।
তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ এবং আমি বাড়িতে না থাকলে সে একাই বাড়িতে থাকে। আমার স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে অঞ্জলীর ভাইয়ের মেয়ে ঐশিকে আমাদের বাড়িতে আসতে বলি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, জমি বিক্রি করবো বলে এক জনের কাছ থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা বাইনা নিয়েছি। এরমধ্যে অঞ্জলীর চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা খরচ করি।
বাকি টাকা এবং অঞ্জলীর স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া কানের দুল ও নাকফুল ঘরের মধ্যে একটি আলমারিতে রাখা ছিল। আলমারির তালা ভেঙে সেগুলো সব লুট করে নিয়ে গেছে।
নিহত অঞ্জলী রানী বিশ্বাসের ভাইয়ের মেয়ে ঐশি বলেন, বেলা ১১ টার দিকে পিশিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে আসি।
বাড়ির গেইট ভিতর থেকে লাগা নো ছিল। অনেকক্ষন গেইট ধাক্কানোর পর ভিতর থেকে কোন সারা-শব্দ না পেয়ে ঘরের জানালার ফাক দিয়ে ভিতরে উকি দিই।
এসময় ঘরের ভিতর রক্ত দেখতে পাই এবং পিশিকে ঘরের মেছেতে পড়ে থাকতে দেখি। প্রতিবেশিদের খবর দিলে পাচি ল টপকে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করি। প্রতিবেশিদের সহযো গীতায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
চু
য়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আ লী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থ লে যায়। অঞ্জলী রানী বিশ্বাসকে ধারালো কিছু দিয়ে গলায় পোজ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে সোনালী রঙের একটি ব্রেসলেট উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ব্রেসলেট পরিহিত ব্যাক্তির সন্ধা ন পেয়েছি এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিশ হেফাজ তে নেয়া হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। তিনি হত্যকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিমকে নির্দেশনা দেন।