সুভাষ দাশ তপন, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরি কাসা চুরি হয়ে গেেেল গাড়িটি চুরচক্রের হাত থেকে ফিরিয়ে আনার কথাবলে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।

বিষয়টি নিয়ে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সিএ নজির মালিক ভুক্তভোগী অসহায় এক নারী।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সিএনজি গাড়িটির মালিক শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রেন ইউনিয়নের রাজা মিয়ার মেয়ে লাইলি বেগম। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান,গত ২৮ আগষ্ট ২০২১ তারিখে সিলেট রোড,মৌলভীবাজার জুগিডর এলাকার মক্কা-মদিনা শোরুম থেকে ৬ লক্ষ টাকা ধর সাব্যস্থ করে কিস্তিতে ক্রয় করি। দু:ভাগ্যক্রমে ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর তারিখে শ্রীমঙ্গল থেকে রাত সাড়ে তিন টায় আমার সিএনজিটি চুরি হয়ে যায়।

আমি বিষয়টি প্রথমে উপ জেলার উদনাপার এলাকার আব্রæজ মিয়ার ছেলে ও সিএনজি উপজেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন তুর্কিকে (৫০) জানাই।

তখন তিনি আমাকে জানান, একটি চোর চক্র আছে তারা সিএন জি চুরি করে। তিনি আমার সিএনজিটি তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করে দিতে পারবেন।

এভাবে অনেক চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজিতিনি উদ্ধার করে দিয়ে ছেন অন্য মালিকদের। তিনি শর্ত দেন আমার চুরি হয়ে যাওয়া সি এনজির ব্যাপারে আমি যেন থানায় কোন অভিযোগ না করি।

তাহার কথা মত আমি পুলিশের নিকট কোন অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকি।

এসময় সালাউদ্দিন তুর্কির সাথে আরও যোগ দেন সুরমা ভেলীএলা কার রজব আলীর ছেলে ও আব্দুল্লা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক শপের মালিক আব্দুল্লা (৫২) ও হবিগঞ্জ রোড সিএনজি ২৩৫৯ গ্রæপ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো:কাইয়ুম মিয়া।

এসময় তারা চোর চক্রের সাথে দেখা করতে হবিগঞ্জ যেতে হবে বলে আমার নিকট থেকে গাড়ী ভাড়া ও তাদের চা নাস্তা খাওয়াতে হবে বলে পাঁচ হাজার টাকা চেয়ে নেন।

পরের দিন তারা আমাকে জানান আমার সিএনজিটি পাওয়া গেছে। তবে চোরচক্র নাকী তিন লক্ষ টাকা দাবী করেছে, যদি আমি তা দের ওই টাকা দেই চোরচক্র আমার সিএনজিটি ফেরত দিবে বলে তারা জানান। তাদের কথা শুনে আমার মাথার ওপর আকাশ ভে ঙে পড়ে!

এত টাকা আমি কোথায় পাব এই চিন্তায়। তারপর অনে ক চিন্তা করে আমি বিভিন্নজনের নিকট থেকে ধার-দেনা করে বিগত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে উল্লেখিত বিবাধীদের নিকট নগদ ২ দুইলক্ষ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করি এই শর্তে আমার সিএন জিটি পরদিন তারা চোরের নিকট থেকে ফেরত এনে দিবে।

এসময় সালাউদ্দিন তুর্কি আমার নিকট থেকে গাড়ীর সকল মালি কানার কাগজ পত্র চেয়ে নেয়, আমিও সরল বিশ্বাসে তাকে সকল ডকুমেন্ট দিয়ে দেই।

কিন্তু পরদিন আব্দুল্লা পুলিশের কথা বলে আমার নিকট আরও ১০ হাজার টাকা নেয়। পরদিন তারা আমার সিএনজি না এনে বলে কালকে চলে আসবে, এভাবে তারা নানা টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে যায়।

আমি তাদের প্রতারণা বুঝতে পেরে আমার চাক্ষুস স্বাক্ষী সুরমা ভেলী এলাকার মহসিন মিয়া,শংকরসেনা এলাকার জয়নালর মিয়া ইউপি সদস্য,ফটকির জুবেদ মিয়া, মুজিব মিয়া, রিপন মিয়া,লাল বাগের আকবর মিয়া সহ পরবর্তীতে এ বিষয়ে শালিশ বৈঠকে যুক্ত হন উপজেলার প্রবীণ মুরুব্বী ইউছুব আলী ও আছকির মিয়া।

শালিশ বৈঠকে আমার পক্ষে রায় হলেও তারা আজ পর্যন্ত আমার সিএনজি গাড়ী, ডকুমেন্ট ও মোট টাকা ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়নি। আমি কোন উপায় না পেয়ে গত ৩১/৮/২০২৪ ইং তারিখে উল্লেখিত তিনজন চোর চক্রের সহায়তাকারী,প্রতারকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে থানা পুলিশ আমার অভিযোগটি এফ,আই,আর না করে কোন প্রতিকার নেয়নি বলে ভুক্তভোগী লাইলি বেগম অভিযোগ করেন।

এব্যাপরে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন তুর্কি গাড়ি ফিরিয়ে এনে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। এবং তিনি লাইলি বেগমের কাছ থেকে ২৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে জানান।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, লাইলি বেগমের অভিযোগের বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্হা নেয়া হবে।