শাহিন সোহেল,চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ মধ্যপ্রাচ্যের চাঁদ দেখা ও দেশের চাঁদ দেখা অনুযায়ী আগামী ১৭ জুন হতে পা রে ঈদুল আযহা।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম উৎসব ঈদুল আযহা।
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে যশোরের চৌগা ছা উপজেলার কামার শিল্পের কারিগররা পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের বিভিন্ন জে লা-উপজেলার কামার শিল্পের কারিগররা। টুং টাং শব্দই বল ছে ঈদ লেগে ছে কামার পাড়ায়। চলছে হাঁপর টানা,পুড়ছে কয় লা,জ্বলছে লোহা।
হাতুড়ি পিটিয়ে কামার তৈরি করছেন দা,বটি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম। শহর ও গ্রাম-গঞ্জে সব জায়গায় কা মাররা নতুন ও সঙ্গে পুরনো দা-বটি,ছুরি ও চাপাতিতে সান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা । প্রত্যন্ত জনপদের কামা ররা এখন মহাব্যস্ত সময় পার করছেন।
লাল আগুনের লোহায় কামারদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামার দোকানগুলো। টুং টাং শব্দটি এখন তাদের জন্য এক প্রকার ছন্দ, যেন মনে হচ্ছে জীবন্ত কবিতা।বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতেই মূলত কিছু কামার এখনো এ পেশায় জড়িয়ে আছেন।
এছাড়া পরিশ্রমের তুলনায় এ পেশায় সাধারণত আয় ও সম্মা ন উভয়ই কম। তাই অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।
তারা এ পেশার ভবিষ্যত নিয়েও এখন চিন্তিত,কারণ এ কা জের সময় আওয়াজ হয় বলে শহরে তেমন কেউ তাদের দোকান ভাড়া দিতে চায় না।
ক্রেতারা জানান, কুরবানির ঈদের আর কদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেল ছেন।
তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি,চাকু, কাটা রির দাম এক টু বেশি বলে জানান তারা। লোহার পাশাপাশি স্টি লের ছুরি চাকু ও বিক্রি হয় অনেকাংশে।
ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের কামার শিল্পীরা।
যতই ঘনি য়ে আসছে কোরবানির ঈদ,ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা। সেই কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ চলে তাদের।
সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবা নির মৌসুমে ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কামার দের।কয়েকজন কামার জানান, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০ টাকা,দা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বটি ৩০০ থেকে ৪৫০,পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা ,চাপাতি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে কেজি উপরের নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হয়। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন কামারদের দোকানে।
আগে যেসব দোকানে দু’জন করে শ্রমিক কাজ করতো,এখন সেসব দোকানে ৩-৫ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন।
উপজেলার দেবালয় গ্রামের শ্রী বাসুদেব কর্মকার বলেন, ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও লোহার দাম বেড়ে গেছে।
অপরদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ ঈদ উপলক্ষে দা,চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। ছুরি শান দেয়ার জন্য ৩৫ টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।
কোরবানির ঈদ উপ লক্ষে কামারদের বেচা-কেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। কয়লার দামও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
খড়িঞ্চা গ্রামের শ্রী সাধন কুমার বলেন,সারা বছর তেমন কাজ থাকে না। কোরবানির ঈদের সময় আমাদের কাজের চাহিদা বেড়ে যায়।
চাপাতি বানাতে আন্দারকোটা গ্রাম থেকে আসা এক শিক্ষ ক জানান,আগের চেয়ে দাম বেশি চাচ্ছে।
তারা বলছে কয়লার দাম নাকি বেশি। দাম যাই হোক আমা দের তো এ কাজ করতেই হবে।