যশোর প্রতিনিধি:
শীতের আগমন শুরু হতে না হতেই খেজুর রস ও গুড়ের খ্যাত যশোরের চৌগাছা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় রস ও গুড় আহর ণের জন্য চলছে প্রস্তুতি। এখানকার গাছিরা ব্যস্ত সময় পার করছে ন।
এখানকার খেজুরের রস আহরণের মধ্য দিয়েই এ গ্রামীণ জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ।
কথায় আছে “যশোরের যশ’ খেজুরের রস”তাই শীতের মৌ সুম শুরু হতে না হতেই গাছ থেকে রস আহরণের পূর্ব প্রস্তুতি শুরু হয়েছে যশোরের চৌগাছাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা যায়।
গত মঙ্গবার বিকালে উপজেলা হাকিমপুর ইউনিয়নের যাত্রা পুর গ্রামের দক্ষিন মাঠে সরজমিনে খেজুর গাছ তো লারদৃশ্য চোখে পড়ে।
রস সংগ্রহের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে খেজুর গাছের আগা য় বিশেষ পদ্ধতিতে কাটাকুটি বা ‘তোলাার কাজ চলছে।
ধারালো দা (গাছি দা) দিয়ে খেজুর গাছের মাথার সোনালি অংশ বের করা হয়। একে যশোরের মানুষের ভাষায় বলে ,খে জুর গাছ তোলা।
এর ৮ থেকে ১৪ দিন পর নোলন স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস আহরণের মূল কাজ। এর কিছুদিন পরই ওই সব গাছে লাগানো হয় মাটির ভাড় বা পাতিল।
এর থেকে সংগ্রহ করা হয় মিষ্টি স্বাদের খেজুরের রস। ওই রস দিয়ে তৈ রি করা হয় লোভনীয় গুড় ও পাটালি।
শীত যত বাড়বে,খেজুর রসের মিষ্টিও তত বাড়বে। শীতের সব চেয়ে বড় আকর্ষণ দিনের শুরুতে খেজুরের রস,সন্ধ্যা রস ও সুস্বাদু গুড়-পাটালি।
শীত মৌসুমে যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে খেজুু রের রস জ্বালিয়ে পিঠা-পায়ে সসহ নাম না জানা হরেক রক মের মুখ-রোচক খাবার তৈ রির ধুম পড়ে।
সুস্বাদু পিঠা ও পায়েস তৈরিতে আবহমান কাল ধরেই গ্রাম বাংলার প্রধান উপকরণ খেজু রের গুড়। খেজুরের রস বিক্রি ও গুড় তৈরির কাজও এ এলাকার অ নেক কৃষকের প্রধান শীতকালীন পেশা। এখন যেন চলছে তারই পূর্ব প্রস্তুতি।
উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের জিন্নাত আলী,সহ বেশক য়েজন গাছি বলেন,প্রথমে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে গাছের আগা কাটা হয়।।
মৌসুমের শুরু তে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হওয়ায় একা স ম্ভব হয় না। তাই গাছের আগা কাটার জন্য গাছিদের ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা মজুরি দিয়ে গাছ কাটাতে হয়।
হাকিৃপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের তোরাব বলেন,রস সংগ্রহের সময় অর্থাৎ শীত মৌসুমের পুরো চার মাসজুড়ে বাড়িতে খেজুরের গুড় ও পাটালি তৈরি করা হয়।
ওই সময় আমাদের প্রতিদিন আয় হয় এক থেকে দুই হা জার টাকা। অনেকের আবার খেজুর গাছ কেটেও সংসার চলে।
চৌগাছা বাজারের ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন এসব হাট থেকে খেজুরের গুড় ও পাটালি কিনে সারা দেশে সরব রাহ করেন। এখানকার কারিগরদের পাটালি তৈরিতে সুনাম থাকায় খেজুরের গুড়-পাটালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দে শের অন্যান্য জেলায় এমনকি দেশের বাইরেও।
অনেক ব্যবসায়ী সরাসরি গাছিদের কাছে অর্ডার দিয়ে পাই কারি মূল্যে কিনে দেশের বাইরেও সরবরাহ করে থাকেন য শোরের সুস্বাদু এই গুড়-পাটালি।
বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ্ মোদাব্বির হোসে ন বলেন, যশোরের খেজুরের গুড়কে গত বছর জে,আই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখানকার খেজুরের রস ও গুড়ের ঐতিয্য ধরে রাখতে সরকারী ভাবে নানা উদ্যেগ গ্রহন করা হয়েছে।
গত বছর এ উপজেলা সরকারী খাস পরিত্যক্ত জা য়গায় হা জার হাজার খেজুর গাছের চারা ও বীজ রোপন করা হয়ে ছে। সেইসাথে গাছি দের প্রশিক্ষন, গুড় ও পাটালীর মেলা সহ,গাছি কল্যান সমিতি গঠন করা হয়েছে।