মো: ফখরুল ইসলাম,,যশোর:যশোরের চৌগাছায় জিআই পণ্য খেজুর গুড় সংগ্রহ কার্য ক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
(৩০ আক্টোবর) বুধবার চৌগা ছা উপজেলার হায়াতপুর গ্রা মের মাঠে এই কার্যক্র মের উদ্বো ধন করা হয়। খেজুর গুড় সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনু ষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারের খুলনা অঞ্চ লের পরিচালক হুসাইন শও কত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খেজুর গাছ প্রস্তুত করে দেখান উপজে লার পাতিবিলা ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামের কৃষক গত বছরের শ্রেষ্ঠ গাছির পুরস্কার প্রাপ্ত গাছি আব্দুল আজিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা, উপজেলার কমি শনার (ভুমি) তাসমিন জাহান, স্থানীয় ইউপি চেয়ার ম্যান আতাউর রহমান লালসহ ইউপি সদস্য, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি ও কৃষক।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্থানীয় সরকারের খুলনা অঞ্চলের পরিচালক হুসাইন শওকত বলেন, চৌগাছায় প্রা য় ১ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও উজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যো গে প্রতি বছরই খেজুর গাছের চারা ও বীজ রোপণ করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকদে রকে খেজুর গাছের চারা রোপনে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তবে এসব গাছ ধরে রাখতে হলে ইট ভা টায় খেঁজুর গাছ পো ড়ানো বন্ধ করতে হবে। গাছ সংর ক্ষনে এলকাবাসির উ দ্যোগ নিতে হবে।তিনি আরো বলেন, খেজুর গুড় উৎ পাদন প্রক্রিয়া একটি শিল্প। শিতের শুরু থেকে শৈ ল্পিক পদ্ধতি তে এই অঞ্চলের মানুষ খেজুর গুড় উৎপাদন করে থাকে। যশোরের এই বিখ্যাত পণ্যের মান ঠিক রাখতে সকলের সততার সাথে কাজ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে অসাধু ব্যবসায়িরা যেন ভেজাল দিতে না পারে।
উল্লেখ্য তৎকালিন উপজেলা নির্বাাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুল তানার ঐকান্তিক চেষ্টা ও এলাকার মানুষের সহযোগী তায় চৌগাছার খেজুর গুড় ২০২২ সালে যশোরের জিআই পণ্যে র স্বীকৃতি পায়। এর পর থেকে ব্যাপক চাহিদা বেড়ে যায় খেজুর গুড়ের।এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতি বছর মাঘ মাসে আয়োজন করা হয় খেজুর গুড়ের মেলা।
এ বছরও মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন উপ জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা। এসব কারণে এইঅ ঞ্চলের প্রায় হারিয়ে যাওয়া ঐগিহ্য আবার ফিরে পেতে শুরু করেছে উপজেলার গ্রামীণ জনপদের মানুষ।