খলিলুর রহমান জুয়েল,চৌগাছা (যশোর)থেকে ॥সবুজের সমারহ আর সোনালী শীষ দুলছে মাঠের পর মাঠ।যশোরের চৌগাছা উপজেলায় চলতি বছরে ব্যপক ভাবে চাষ হয়েছে বোর ধানের। আবহাওয়া অনুকূলে ও বাজার দর ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছে কৃষক।

এখানকার কৃষক নিজের জমি না থাকায় বর্গা নিয়ে আবার কেউ কেউ পরের জমি লিজ,বন্দক নিয়ে বোর চাষ করেছেন।বর্তমান অনন্য ফসলের তুলনায় বাজারের চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় বোর চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

এখানকার ধান স্থানীয় চাহিদা মেটায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হয়।এছাড়া দ্রব্যমূল্য সার,কীটনাশক,শ্রমিকের দাম অনেক বেশি।তারপরও ফলন ও বাজার দর ভাল থাকলে লাভোবান হবে বলে মনে করেন এখানকার চাষীরা।এখানকার মাটি ও আবওহায়া অনুকূলে থাকায় প্রতি বছরই ভাল ফলন হয়ে থাকে।এবার মাঠে মাঠে কাজল লতা,শুভ লতা,রড মিনি,সুপার মিনি,বাঁশ মতি,ব্রি ২৬,ব্রি ২৮,ব্রি ৩৯,ব্রি ৬৫,ব্রি ৩১সহ নানা জাতের বোর ধান চাষ হয়েছে বলে একাধিক কৃষক জানান।

জানাগেেেছ,উপজেলার,খড়িঞ্চা,দেবলয়,সাঞ্চডাঙ্গা,চাঁদপাড়া,বর্নী,রামকৃষœপুর,আন্দুলিয়া,আড়শিংড়ী,সুখপুকুলিয়া,মাকাপুর,বল্লভপুর,নাইড়া,গয়ড়া,হিজলী,কমলাপুর,মাধবপুর,পুকুরিয়া,পুড়াপাড়া,দেবলয়,মাধবপুর, ,চাঁদপাড়া,নারায়নপুর,

ভগোবানপুর,বাদেখানপুর,পেটভরা,হাজরাখানা,আন্দারকোট,বহিলাপোতা,বাঘারদাঁড়ি,জিওলগাড়ি,মাশিলা,স্বরুপদাহ,সহ সকল গ্রামের বোর চাষ হয়েছে।কুলিয়া গ্রামের কৃষক মুন্তাজ আলী,শফি উদ্দীন,আলা উদ্দীন, জুলফিক্কার হোসেন,বাদে খানপুর গ্রামের মশিয়ার,রামকৃষœপুর গ্রামের ঈদ্রিস আলী,আন্দুলিয়া গ্রামের আশরাফ আলী,আড়শিংড়ী গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন চলতি বছরে মাঠে বিভিন্ন জাতের ধান হয়েছে আবাওহায়া ও বাজার দর ভালো থাকলে বরো চাষে ব্যপক লাভ হবে বলে আশা করা যায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব সমরেন বিশ^াস বলেন।উপজেলার সকল গ্রামের মাঠেই বোর ধান ভালো হয়েছে।কৃষকের সার্বিক সহযোগীতা সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।তবে আবাওহায়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন আশা করা যায়।চলতি বছরে ১৮ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে বোর চাষ হয়েছে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *