শাহীন সোহেল (যশোর) চৌগাছা প্রতিনিধি!! যশোরের চৌগাছা উপজেলায় দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় দিনভর সহ গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছে কামার পাড়ার কর্মকারেরা।
বৈশাখ মাস বাঙালী ও কৃষকদের নবান্ন উৎসবের। এই সময় আসলে কৃষকের মুখে রঙিন হাসি ফোঁটে সোনালী বর্ণের শীষ ভরা ধানের মত। তাড়াহুড়ো পড়ে যায় তাদের ধানের নাড়া কাটার জন্য কাস্তে পুড়িয়ে ধারালো করা ও গরুগাড়ির চাকাই নতুন করে হাল মেরে গাড়োয়ালের গাড়ি প্রস্তুুত করে কৃষকের ধান ঘরে আনার জন্য ধুম।
প্রতি বছরের মত এবারও শুরু হয়ে গিয়েছে ইরি ধান কাটার মৌসুম ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কামারপাড়ার কর্মকারদের।
চৌগাছার হাকিমপুরের শিশুতলা বাজার নামকরা কামারপাড়া এই বাজারে অনেক দূর দুরান্ত থেকে কৃষকেরা কৃষি যন্ত্রপাতি আনেন পুরিয়ে ধারালো করার জন্য। শিশুতলা বাজারে দুই টা কামারের দোকান সুমন কর্মকার যিনি ব্যস্ত কাস্তে ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি পোড়ানোই, অন্যদিকে সঞ্জায় কর্মকার ব্যস্ত গরু গাড়ি চাকার হাল পোড়ানোই।
দূরগ্রামের এক গাড়োয়াল বলেন, আমরা ১০ কিলোমিটার দূর থেকে কয়েকজন এসেছি শিশুতলা বাজারে গরু গাড়ির হাল মারার জন্য। আমরা প্রতিবছর ইরি ধানের সময় আসলে এখান আসি এবং গরু গাড়ির হাল পুড়িয়ে গাড়ির চাকা মজবুত করি। এতে কাঁদার ভিতর ধানের আটি সাজানো গাড়ি উঠতে সুবিধা হয় গরু গাড়ি টানতে কষ্ট কম হয় গাড়ি চলে ভালো।
সঞ্জয় কর্মকার বলেন, এই সময় আসলে আমরা অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ি আমাদের খাওয়া দাওয়া করার মতও সময় হয় না। এমনকি রাত দিন কাজ করতে হয় তারপরও কাজের শেষ উঠানো যায় না।