প্রত্যক্ষদর্শী মহাদেব জানান, বাসটি উল্টে যাবার সাথে সাথে যাত্রীদের চিৎকার শুরু হয়। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত ঘনাস্থলে পৌঁছিয়ে উদ্ধার শুরু করে। মুহুর্তে ফায়ার সার্ফিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন উপজেলার হাজিপুর গ্রামের ইছাহক আলী (৬০), যাত্রাপুরের আশাদুল ইসলাম (৫০), আন্দারকোটা গ্রামের মিজানুর রহমান (৪৩), তারানিবাস গ্রামের শুভ ইসলাম (১৮), পুড়াহুদা গ্রামের রোজিনা খাতুন (৩০), পাতিবিলার গ্রামের আমজাত আলী (৫০) ও সাহিদা খাতুন (৫২), কয়ারপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম (৬৬), ইছাপুর গ্রামের ইসমেতারা (৫০), পাশাপোল গ্রামের আমেনা বেগম (৪৫), পাচনামনা গ্রামের রাজিব হাসান (২৬), পেটভরা গ্রামের তুহিন (১৭), চাঁদপুর গ্রামের সাজেদা খাতুন (৪০), ধুলিয়ানী গ্রামের মগরেব আলী (৫০), মহেশপুর উপজেলার পুড়াদাহের আকলিমা খাতুন (৪০), জাহানারা খাতুন (৬০), যাদবপুরের শাহাজান আলী (৫০), বড়বাড়ি গ্রামের এনামুল হক (১৭)।
আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন।
এছাড়া আশংকাজক অবস্থায় ২ জনকে যেেশার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে দায়িত্বরত চিকিৎসক গোলাম রসুল জানিয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রবিওল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার সাথেসাথে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। আহতদেও মধ্যে শুভ ইসলাম নামের একটি ছেলের পা আটকে যায়। তারপরও আমরা ভালোভাবে উদ্ধার করতে পেরেছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপই ঘটনাস্থলে পুলিশ সাধ্যমত উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়। দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। ১৫/২০ জন আহত হয়েছে বলে আমরা জেনেছি।