নিজস্ব প্রতিবেদক, (যশোর): যশোরের চৌগাছায় পারিবারিক গোলযোগের জের ধরে শরিফুল ইসলা ম (৪৫) নামে এক ব্যাক্তি কে গলাকেটে হত্যা করলো তার ছেলে।
শনিবার (৮ মার্চ ) ভোরে উপজেলার পাতিবিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক গোলযোগে শরিফুল ইসলা মের ছেলে রমিম হোসেন (২৫) পিতাকে গাছি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে।
পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে ছেন। ঘাতক ছেলে রমিম হোসেন পলাতক রয়েছে।
শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালে নিহতের ভাতি জা আশিকুর রহমান জানান, শরিফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী তহমিনা বেগমের সাথে ৩/৪ বছর আগে পারিবারিক দ্বন্দ্বে ছাড়া-ছাড়ির পর তিনি হাসিনা বেগমকে বিয়ে করেন।
পরে ছেলেকে (রমিম হোসেনে র) সৎমা হাসিনা বেগম নিজের বোনের মেয়ে সাদিয়া খাতুনের সাথে বিয়ে দেন।
কিন্তু বিয়ের পরপরই পারিবারিক ঝামেলা শুরু হয়। নতুন স্ত্রী নিয়ে শুক্রবার রমিম হোসেনের পিতা ও সৎ মায়ের সাথে ঝগড়া-বিবাদ হয়।
পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারনে রাতের খাবার খায়নি রমিম হোসেন।
টেবিলের উপর তার জন্য রাখা ভাত-তরকারি যেভাবে ঢাকা ছিল সেভাবেই পড়ে রয়েছে। রাতে এ অবস্থায় পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে।
শনিবার ভোরে তার বাবা ও সৎ মা হাসিনা বেগম রোজা রাখার জন্য সেহেরি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি লেন।
এ সময় রমিম হোসেন একটি ধারাল গাছিদা হাতে নিয়ে পিতা শরিফুল ইসলামের ঘরে প্রবেশ করে।
এ সময় কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই রমিম হোসেন তার ঘুমন্ত পিতা শরিফুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। শরিফুল ইসলাম প্রতিহত করার চেষ্টা করলে রমিম হোসেন তার গলা লক্ষ করে কোপমারে।
এতে শরিফুল ইসলামের গলা কেটে যায়। এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও স্থানী য় প্রতিবেশীরা ছুটে এলে রমিম হোসেন পালিয়ে যায়। মারাত্মক আহত অবস্থায় শরিফুল ইসলামকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা সরকারি মডেল হাসপা তালে নিলে সেখানে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজিব হাসান তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের শরিফুল ইসলাম ৩/৪ মাস আগে তার ছেলে রমিম হোসেন (২৫) কে উপজে লার রাম কৃষ্ণপুর গ্রামে বিয়ে দেন।
কিন্তু বিয়ের তিন মাস না যেতেই রমিম হোসেনর সাথে ছাড়াছাড়ি (তালাক) হয়ে যায়। রমিম হোসেন নিহত শরিফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রীর সন্তান।
পরবর্তীতে রমিম হোসেনের পিতা দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে যশোরের মর্গে পাঠিয়েছে। 
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় আমি মর্মাহত হয়েছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যার সাথে জড়িতকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।