চৌগাছা(যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের চৌগাছায় ভূমিদস্যূদের অবৈধ দখল থেকে ৪৩ বিঘার একটি জলমহাল উদ্ধার করেছে উপ জেলা ও ভূমি প্রশাসন।
এক ভূমিদস্যূ জলমহালটির শ্রেণি (জলমহাল থেকে ধানী) পরি বর্তন করে নিজেদের দখলে নিয়েছিল।
গতকাল (দুপুরে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহা নের নেতৃত্বে এই জমি (জলমহাল) টি অবৈধ দখল মুক্ত করে লাল পতাকা এবং সাইন বোর্ড টাঙিয়ে সকারের দখলে দেয়া হয়।
উপজেলা ভূমি অফিস ও চৌগাছা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস জানায়, চৌগাছা পৌরসভার চৌগাছা মৌজার জে.এল. নং-১১ এর এসএ খতিয়ান নং- ৪০০, ৪১০, ১২৭৩, ১৬৪৬, ১৮৫৩, ১১৪৮, ৩১৭০, ২৭৬, ২৪৮, ২৬০২, ২৭৪, ১৮৮, ১৫৯৩, ৯৮০, ২৪৬১, ২৫৫২ ও ৪৬৪ খতিয়ানের এসএ দাগ নং-২২৯৩। যা আরএস খতিয়ান ০১ এর ২৭টি আলাদা দাগে ১৪.১০০ একর জমি জলমহাল হিসেবে ছিলো।
এই জলমহালটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু ফজলুর রহমান, খসদেল হোসেন, শামীম হোসেন, কালাম হোসেন ও নবাব আলী অবৈধ ভাবে দখল করে আসছিলো।
এদের নেতৃত্বে জোর পূর্বক দখলে রেখে মাছ চাষ করতো। শুধু দখলই নয়, এই জলমহালের জমি স্থানীয় প্রভাবশালী এ ভূমিদস্যূ রা ভূমি অফিসের অসাধূ কর্মচারী দের সহায়তায় রেকর্ড করে নেয়।
একই সাথে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ধানী জমি হিসেবে নিজেদের নামে রেকর্ড করে তারা।
পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে চৌগাছা সদর ভূমি অফি স রেকর্ড সং শোধন করে জলমহালে ফিরিয়ে নেয়া র জন্য মিসকেস করেন।
এরপর অবৈধভাবে নিজেদের নামে দখল কারী ব্যক্তিরা দেওয়ানী মামলা করে।
তবে মামলায় তারা আদালতে হেরে যায়। এরপরও অবৈধভাবে জলমহালটি দখলে রেখেছিল ওই ভূমি দস্যূরা।
বিগত সরকারের পরিবর্তনের পর স্থানীয় জনসাধা রণকে সাথে নিয়ে উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাস্টার কামাল আহমেদ এ সক লের জন্য উন্মুক্ত ঘোষনা করেন।
এদিকে মিসকেস ও দেওয়ানী মামলা নিস্পতি হয়ে যাওয়ায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহান জলমহাল দখল মুক্ত করে সরকারের দখলে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন।
অবশেষে গতকাল দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাস মিন জাহানের নেতৃত্বে ওই জলমহালের চৌহর্দিতে লাল পতাকা গেড়ে এবং সাইনবোর্ড পুতে দিয়ে জমি টি সরকারের দখলে নেয়া হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহান বলেন, জমিটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ভূমিদ স্যূরা অবৈধভাবে রেকর্ড করে দখলে রেখেছি লো। মিস কেসের মাধ্যমে আমরা রেকর্ড সংশোধন করে খাস খতি য়ানে নিয়েছি।
আজ সেটি দখলমুক্ত করা হলো। তিনি জানান, এখন জমিটি’র শ্রেণি পরিবর্তন করে আবার জলমহালে রূপান্তর করার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। এরপর এটি ইজারা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে জমিটি দখলমুক্ত করা হলো। এটি আমাদের বড় অর্জন।
এটি ধানী শ্রেণিতে আছে এখন এটির শ্রেণি পরিবর্ত ন করা হবে। তিনি বলেন, অবৈধ দখল মুক্ত করে সরকারি সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চৌগাছায় ভূমিদস্যূদের অবৈধ দখলকৃত ৪৩ বিঘা জমি উদ্ধার