চাষী রমজান,জীবননগর প্রতিনিধিঃ
বিদেশের মাটিতে কঠোর পরিশ্রম করে পরিবারের জন্য জমানো ২২ লাখ টাকা মোবাইল ল্যাপট্যাপ কৌশলে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে কয়া গ্রামের প্রতারক মোঃ রাসেলের বিরুদ্ধে। এর ফলে বর্তমানে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন সৌদী প্রবাসী আঃ সালাম ।
সেই অর্থ উদ্ধারের জন্য পাগলপ্রায় আঃ সালাম ধর্ণা দিচ্ছেন থানা পুলিশসহ বিভিন্ন জনের দুয়ারে। পাওনা টাকা চাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে প্রবাসীসহ তার পরিবারকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগও ওঠেছে ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উক্ত প্রবাসী সৌদী থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে এসে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরিসহ বিবাহ করবে এমন কথা জানালে প্রতারক রাসেল প্রবাসীর হাতে থাকা ২২ লক্ষ টাকার উপর লোভ পড়ে। বিয়ে করতে সহযোগিতা করবে বলে জীবননগর শহরের একটি মেয়ের ছবি কাটিং করে ওই প্রবাসীর কাছে দেন।ওই প্রবাসী মেয়েটির সাথে কথা বলার জন্য তাকে বললে প্রতারক নিজে ফোনের ভয়েজ পরিবতন করে মেয়ের ভয়েজ দিয়ে কথা বলতে থাকে ।
এক পযায় প্রতারক রাসেল মেয়ের পরিবারের কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ওই প্রবাসীর নিকট থেকে মোটা অংকের নগদ অর্থ,মোবাইল ফোন,ল্যাপট্যাপসহ বিভিন্ন ধরনের দামি দামি জিনিস পত্র হাতিয়ে নিয়েছে।অবশেষে প্রবাসী আঃ সালাম জীবননগরের একটি ছেলের মাধ্যমে মেয়েটির বিষয়ে জানতে পারে মেয়েটির অনেক আগে বিয়ে হয়ে গেছে এবং ওই প্রতারক রাসেল যে মেয়েটির ছবি দিয়েছে সেই ছবিটা কেটে অন্য ছবিতে লাগানো হয়েছে।
পরে প্রবাসী আঃ সালাম প্রতারক রাসেলকে বিষয়টি বললে সে অস্বিকার যায় এবং প্রবাসী আঃ সালাম তার কাছে টাকা চাইতে গেলে তার বিরুদ্ধে কোটে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন ।সেই মামলায় ওই প্রবাসী সাড়ে তিন মাস জেল হাজতে থাকেন জেল খেটে বাড়িতে ফিরতে না ফিরতেই প্রতারক রাসেল স্থানীয় কিছু ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকায় প্রবাসী আঃ সালামের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় আরও একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। কয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা তেতুল,মশিয়ার,আনার ও রিক্তাউল বলেন,রাসেল প্রবাসী সালামের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এটা আমরা জানি এ বিষয়ে এলাকায় কয়েকবার বিচার ও হয়েছে ।
কয়া গ্রামের সৌদী প্রবাসী মো.আঃ সালাম অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর প্রাবাসে আছি। ২০১৫ সালে একই গ্রামের রাসেলের সাথে পরিচয় হয়। প্রবাসী মো.আঃ সালাম দেশে এসে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করা এবং বিয়ে করার পরিকল্পনার বিষয়টি প্রকাশ করেন। প্রতারক রাসেল পরিকল্পনার কথা শুনে প্রবাসী আঃ সালামের স্বপ্ন পূরণ করে দিবে বলে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পযায় আঃ সালাম প্রতারক রাসেলের কাছে সৌদি থেকে বিভিন্ন সময়ে নগদ ২২লক্ষ টাকা পাঠান এবং আইফোন,ল্যাপট্যাপ ,ডায়মন্ডের নাকেরতা পাঠান সেগুলো প্রতারক রাসেল সু-কৌশলে টাকা আত্মসাৎ করে। টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারক রাসেল তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। উক্ত টাকা দাবি করলে প্রবাসী আঃ সালামকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করে আসছে। প্রবাসীসহ তার পরিবারের দাবি টাকা আত্মসাত করে প্রভাবশালী চক্রটি সরকারি দলীয় রাজনীতির ছত্রছায়ায় বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। বিয়ষটি সঠিক তদন্ত করে ন্যায় বিচার প্রার্থণা করেন প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে.প্রতারক রাসেল কয়া গ্রামের দুইটি মেয়ের সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই জনের ভিডিও ভাইরাল করবে বলে ওই পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করার চেষ্ঠা করেন পরবতীতে একটি মেয়ের বাবা প্রতারক রাসেলের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করেন। রাসেল এলাকায় একজন প্রতারক হিসাবে পরিচিত ।
তা ছাড়া রাসেল ভারতের চোরাইফোনের মূলসেন্টিগেট হিসাবে কাজ করেন ।এ বিষয়ে প্রতারক রাসেলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আঃ সালাম আমার কাছে কোন টাকা পাবে না সে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে সে আমার নামে অভিযোগ দিয়েছিল সে কারনে আমি তার বিরুদ্ধে কোটে মামলা করেছিলাম কোট তাকে শাস্তি দিয়েছে।
৪নং সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইসাবুল ইসলাম মিলটন বলেন,কয়া গ্রামের প্রবাসী আঃ সালামের সাথে ওই গ্রামের রাসেলের সাথে আথিক লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হয়েছে এটা আমি জানি তবে এ বিষয়ে এখন কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।##