চুয়াডাঙ্গা,স্টাফ রিপোর্টার :
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আন্দুল বা ড়ি য়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মি র্জা হাকিবুর রহমান  লিটনকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের নামে প্রকল্প দেখিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি  ( পিআইসির) মাধ্যামে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এম ন কি পিআইসিদের নিকট থেকে ভ্যাট ও আয়করের নাম করে টি আর,কাবিখার প্রকল্প থেকে  ২০% হারে টাকা নেওয়ার ও অভি যোগ রয়েছে  ।
জানা গেছে,২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে আন্দুলবা ড়িয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে উন্নমুলক কাজের জন্য  টিআর,কা বিখার মাধ্যমে  ৫০লক্ষ২০হাজার টাকা,উন্নয়ন সহায়তার নামে ১৫লাখ ৯হাজার ৬শ টাকা,বিশেষ বরাদ্ধের নামে ১০লক্ষ টাকা এবং এডিপির ৬লক্ষ টাকা মোট ৮১লক্ষ২৯হাজার ৬শ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
এর মধ্যে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদ স্য আছিয়াকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি (পিআইসি) ক রে নিশ্চিন্তপুর গ্রামে ১হাজার ৮শ ফুট ইটের সোলিং কাজ করার কথা এর ব্যায় ধরা হয়েছে ১০লক্ষ ৪০হাজার টাকা । 
সেখানে হা তে কলমে কাজ শেষ হলেও পিআইসি কিছুই জানেনা, তবে ৫০ % টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার  (ইউএনও) আগেই তুলে নি য়েছেন বলে তিনি জানান।
জানা গেছে,১৮০০ফিট ইটের সোলিং করতে ইট লাগবে ৫২হাজার ২০০ পিস  যার বাজার দাম ৫ লক্ষ ২২হাজার টাকা,বালি লাগবে ৬০গাড়ি যার বাজার মূল্য ১লক্ষ ৮০হাজার টাকা এবং মিস্ত্রি খরচ ৪৬হাজার ৮শত টাকা সব মিলিয়ে প্রায় ৭লক্ষ ৪৮হাজার টাকা ব্যা য় হতে পারে।
অথচ এই কাজে ব্যায় ধরা হয়েছে ১০লক্ষ৪০হাজার টাকা বাকি ২লক্ষ ৯২হাজার টাকা।  শুধু নিশ্চিতপুর বা আন্দুল বা ড়িয়া ইউ নিয়নে  নয় এ ধরনের অনিয়ম উপজেলার বিভিন্ন ইউ নি য়নে হচ্ছে। 
আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আছি য়া খাতুন বলেন,চেয়ারম্যান আমাকে নিশ্চিতপুর গ্রামের একটি রা স্তার কাজের পিআইসি করেছে সেখানে কিছু কাজ করেছে ইউ এ ন ও স্যার তার  অফিসের কিবরিয়ার মাধ্যমে।
  আমি ঈদের আ গে কিবরিয়ার নিকট ৫লক্ষ ২০হাজার টাকা তু লে দিয়েছি । কত টাকার কাজ আমি কিছুই জানি না সব জানে চেয়ারম্যান আর ইউএনও ।
৫নং ওর্য়াড মেম্বার জহিরুল ইসলাম বলেন,দীর্ঘ দিন পর চেয়ার ম্যান আমাকে ১লক্ষ ২০হাজার টাকার একটা রাস্তার কাজের পি আইসি করেছে সেই কাজটা আমি নিজে করেছি কিন্তু অফিস খর চ ,ভ্যাট এই সব বলে ২০%টাকা আগেই কেটে নিয়েছে ইউএন ও স্যার।
একই অভিযোগ করেন ৮নং ওর্য়াড মেম্বার মাফিজুর রহমান ও সং রক্ষিত মহিলা সদস্য কাজল রেখা তারাও বলেন এই প্রথম শুনলা ম টিআর কাবিখার কাজে ভ্যাট,আয়কর বাবদ ২০%টাকা অফি সে দিতে হয়।
এ বিষয়ে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা হা কিবুর রহমান লিটনের কাছে টাকা নেওয়ার বিষয় জানতে চাই লে তিনি এ বিষয় কোন কথা বলতে রাজি হননি।
জীবননগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অঞ্জন কুন্ড বলে ন,আমি পিআইসির মাধ্যমে কাজ দিয়েছি আমি তার মাধ্যমে কাজ বুজ করে নিব।কে কাজ করলো না করলো সেটা তাদের বিষয়।আ র টিআর বা কাবিখার কোন ভ্যাট আয়কর বাবদ আমরা কারো কাছ থেকে টাকা নিইনি বা চাইনি।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
One thought on “জীবননগর নির্বাহী অফিসারের  বিরুদ্ধে ৮১লক্ষ টাকা উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ”
  1. জীবননগর নির্বাহী অফিসারের  বিরুদ্ধে ৮১লক্ষ টাকা উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *