আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছায় যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতনকারীদের চক্রান্তের বিষে হাস পাতালে ভর্তি গৃহবধু ইভা খাতুনের (২০)। এ ঘটনায় আহতের পিতা ইকরামুল হক (৪৪) বাদি হয়ে ৪জনকে বিবা দী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পারি বারিক এই সংঘাতে থানার অভিযোগে বিবাদী হয়েছেন উপ জেলার শিমু লিয়া ইউনিয়নের দোশতিনা গ্রামের আম জাদ ঢালীর ছেলে আঃ কুদ্দুস আলী (৩০), আমজাদ ঢালীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), আমজাদ ঢালী (৫৫) ও বিদ্যুৎ হোসেন (৩০)।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাগুরা ইউনি য়নের ডহর-মাগুরা গ্রামের বাদি (ইকরামুল হক) এর এক মাত্র মেয়ে ইভা খাতুনের (২০) সাথে ০১ বছর পূর্বে একই উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দোশতিনা গ্রামের ২ ও ৩নং বিবাদীর ছেলে ১নং বিবাদীর সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় ও ০৪ নং বিবাদী বাদির মেয়ের চাচাতে দেবর। বিবাদীরা অত্যন্ত খারাপ, যৌতুকলোভী ও নারী নির্যা তনকারী লোক। বিয়ের পর বাদি তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অদ্যবধি ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্যের জিনিসপত্র ও স্বর্ণালংকার (৪ আনা ওজনের স্বর্ণের আংটি) বিবাদীদের নিকট দেওয়ার পরও যৌতুক লোভী পরিবারের যৌতুকের দাবিতে ১,২ও ৩নং বিবাদীরা বাদির মেয়ের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার নির্যাতন করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে বিবাদী ৪ জন মিলে বাদির মেয়েকে লোহার শাবল দিয়ে মারপিট করে। এরপর ৩ ও ৪ নং বিবাদীরা বাদি র মেয়েকে মাটিতে ফেলে হাত পা চেপে ধরে এবং ২নং বিবা দী তার (ইভা খাতুনের) মুখে ঘাস মারা তেল (বিষ) ঢেলে দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালায়। বিষক্রিয়ার ফলে বাদির মেয়ে মৃত্যুর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দাপাদাপি শুরু করলে এলাকাবাসীরা তাৎক্ষণিক ভাবে বাদির মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উক্ত হাসপাতালে ভর্তি রাখেন। বর্তমানে আহত বাদির মেয়ে ইভা খাতুন মুমূর্ষ অবস্থায় চিকি ৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় আহতের পিতা বাদি হয়ে বৃহস্প তিবার (১০ অক্টোবর) একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিবাদী কুদ্দুস আলী বলেন, আমার মায়ের সাথে আমার গন্ডোগোল হচ্ছিল সেই সময় ও এসে ঝামেলা করছিল। আমি ওতে সরে যেতে বললে ও ঘরে গিয়ে স্প্রে করার ঔষুধ খেয়েছে। আমরা ওকে মারেনি।
অভিযোগের বিবাদী কুদ্দুস আলী বলেন, আমার মায়ের সাথে আমার গন্ডোগোল হচ্ছিল সেই সময় ও এসে ঝামেলা করছিল। আমি ওতে সরে যেতে বললে ও ঘরে গিয়ে স্প্রে করার ঔষুধ খেয়েছে। আমরা ওকে মারেনি।
থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রা হিম আলী বলেন, পারিবারিক গোলযোগের উপর একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগের উপর অতি দ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
—