মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
যৌন সম্পর্ক ও টাকা আদায় মুখ্য উদ্দেশ্য ঘুমন্ত নারীদের ব্যক্তিগত ভিডিওধারণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
একাধিক স্ত্রী ছিল জুলকার খাঁ। কিন্তু সব স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। যৌন চাহিদা মেটাতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জুলকার খাঁ। এক পর্যায়ে রাতের আঁধারে জান্নাতি খাতুন নামে এক যুবতীর কিছু ব্যক্তিগত ভিডিও করে বিকৃত রুচির মানুষ জুলকার খাঁ।
ওই ভিডিও দেখিয়ে জান্নাতির সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে লম্পট জুলকার। দুজন মিলে এক ভয়ংকর মিশন নিয়ে মাঠে নামে। তিনমাস ধরে রাতে ঘুমিয়ে থাকা গ্রামের অর্ধশত নারীর ব্যক্তিগত ভিডিও করে তারা।
উদ্দেশ্য এই ব্যক্তিগত ভিডিও দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও টাকা হাতিয়ে নেওয়া। ঘটনাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা সাপখোলা গ্রামের। রাতের আধাঁরে ঘুমন্ত নারীদের নগ্ন-অর্ধনগ্ন ভিডিও ও ছবি ধারণ করার বিষয় নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে দেশব্যাপী আলোচনায় উঠে আসে। তৎপর হয় পুলিশ। হন্যে হয়ে খুজতে থাকে এই চক্রকে।
অবশেষে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। পুলিশ প্রেমিকা জান্নাতিসহ জুলকার খাঁকে গ্রেফতার করে শৈলকুপা উপজেলার সাপখোলা গ্রাম থেকে। গ্রেফতারকৃতরা জুলকার খাঁ সাপখোলা গ্রামের আদিল উদ্দিন খাঁ’র ছেলে। অপরদিকে তার প্রেমিকা জান্নাতি খাতুন শামছুল বিশ্বাসের মেয়ে।
শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গনমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানান। তিনি উল্লেখ করেন, শৈলকুপা উপজেলার সাপখোলা গ্রামে মামুন ফেরদৌসের বাড়ির জানালা দিয়ে কে বা কারা তার ঘুমন্ত স্ত্রী ও কন্যার ভিডিও করছিল।
এসময় মোবাইলের ফ্লাস লাইটের আলো জ¦লে উঠলে ফেরদৌস ঘরের ভেতর অজ্ঞাত যুবকের হাত চেপে ধরে। তখন মোবাইল ফোন ফেলে সে পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া মোবাইলে মধ্যে সাপখোলা গ্রামের প্রায় অর্ধশত নারী নগ্ন-অর্ধনগ্ন ভিডিও ও ছবি ধারন করা ছিল।
গত ৪ মে ফেরদৌস বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় পর্নোপ্রাফি আইনে অজ্ঞাতদের আসামীদের নামে মামলা দায়ের করেন। পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিকৃত রুচির এই দুই ব্যক্তিকে সনাক্ত করে তাদের েেগ্রফতার করতে সক্ষম হয় বলে পুলিশ সুপার জানান।