Related Articles
রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ ঠাকুরগাঁওয়ে অসময়ের বৃষ্টিতে কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মাঠের ধান, আলু, সবজির জমি পানিতে তলিয়ে আছে। ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মুখে হতাশা দেখা দি য়েছে।
গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত থেকে জেলায় টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হয়। ক্রমেই তা ভারি বৃষ্টিতে রূপান্তরিত হয়। ৪৮ ঘণ্টার এই বৃষ্টিপাতে আলুর খেত, ধানের খেত ও সবজির খেতে পানি জমে গেছে। কোথাও কোথাও মাঠের পাকা ধান হেলে পড়েছে, গড়াগড়ি খাচ্ছে পানিতে। অনেক জায় গায় কৃষক আগাম জাতের আমন ধান কেটে রাখে শুকা নোর জন্য—সেসব জমিতে পানি জমে যাওয়ায় কর্তনকৃত ধান শুকানোর পরিবর্তে ভিজে একাকার হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এমন ঘটনা বেশি। ওই এলাকার কৃষকেরা আগাম ধান তুলে একই জমিতে পেঁয়াজের চাষ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অনেকে জমিতে আলু রোপণের জন্য জমি চাষাবাদ করে সুদিনের অপেক্ষায় ছিলেন। তাদের আলু ও সবজি রোপণ করা পিছিয়ে গেল।
সদর উপজেলার মন্ডলাদাম গ্রামের কৃষক রফিকুল ইস লাম জানান, দু’দিন আগে ২ বিঘা জমির ধান কেটে শুকা নোর জন্য মাঠে রেখেছি। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে আমন খেতে কর্তনকৃত ধান এখন পানিতে ভিজে নষ্ট হতে বসে ছে।
রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জমির ধান ইতোমধ্যে পেকে গেছে। ধান কাটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু এই বৃষ্টিতে ধান ভিজে যাওয়ায় ধান কাটা পিছিয়ে গেল।’
ঠাকুরগাঁও জেলাসহ অনেক এলাকার কৃষক জমিতে যারা আগাম আলু রোপণ করেছিল সেসব আলুর খেতে পানি জমে আলু নষ্ট হওয়ার পথে। গত বছর আলু চাষ করে লোকসান গোনায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সাহবা জপুর এলাকার অনেক কৃষক বেশি দামে সার সংগ্রহ করে এক সপ্তাহ পূর্বে জমিতে আলু রোপণ করে। কিন্তু আলুর খেতে এখন পানি জমে আছে। এ কারণে আলু বীজ নষ্ট হওয়ায় আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
কৃষি অফিস জানিয়েছে, যেসব জমিতে আমন ধানে থোর দেখা দিয়েছে এবং ধানের শীষ বের হওয়ার উপক্রম হয়ে ছে সেসব জমিতে রসের ঘাটতি পূরণ হওয়ায় সহজে ধান বের হতে পারবে এবং এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শতাধিক হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে কৃষক দের সহযোগিতার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
Bartabd24.com সব খবর সবার আগে