রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ রসালো ফল আম। কাঁচা অথবা পাকা তা কার না পছন্দ। আম তো পরে আগে আমের মুকুল। শীতকাল প্রায় শেষের দিকে।

এরই মধ্যে বসন্তের আবাস। গাছের ডালে হিমেল হাওয়ায় দুলছে আমের মুকুল।

পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার পংক্তি গুলো বাস্তবে রূপ নিতে বাকি রয়েছে মাত্র কয়েক মাস। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে।

এমনই দৃশ্যের দেখা মিলেছে ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রতিটি গ্রামে। দৃশ্যটি যে কাউকেই কাছে টানবে।

দুরন্ত শৈশবে কাঁচা-পাকা আম পাড়ার আনন্দ অনেকেরই স্মৃতিতে চির অমর। ঠাকুরগাঁও দেখা মিলে গাছে গাছে ফুটে আছে আমের মুকুল।

চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ বাতা সে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে তুলে।

মধু সংগ্রহ করতে মৌমাছিরা ভিড় করছে আম গাছের ডালে ডালে।

পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের এই মুকুলগুলো। হলুদ রঙের আমের মুকুলের মনকাড়া ঘ্রাণ।

এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। চারদিকে ছড়িয়ে পড়া মুকুলের ঘ্রাণ প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করছে।

মৌমাছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে। পাশাপাশি জানান দিচ্ছে মধু মাসের আগমনী বার্তা।

কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতালে ফাগুনের উত্তাল বাসন্তী হাওয়া দিচ্ছে দোলা।

গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে মৌ মৌ ঘ্রাণ। আগুন ঝরা ফাগুনে গাছে গাছে জেগে উঠছে সবুজ পাতা।

সোনালি হলুদ রঙের আমের মুকুলের মনকাড়া ঘ্রাণ। মৌমা ছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে।

প্রকৃতির পালাবদলে ঠাকুরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আম গাছগুলোতে মুকুলের মিষ্টি সুবাসে মৌ মৌ করছে প্রকৃ তি।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর গাছে মুকুলের পরি মাণ বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং সময়মতো পরি চর্যা হলে চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন হবে। আর এ কারণেই আশায় বুক বেধে আমচাষীরা শুরু করেছেন পরি চর্যা।

তাদের আশা, চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈ তিক ভাবে লাভবান হবেন। এ সময় শিলাবৃষ্টি হলে আমের মুকু লের ক্ষতি হবে।

এর উপর সামনে কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কাও কাজ করছে।

তবে পরিস্থিতি অনূকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফল ন হবে বলে জানান তারা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *