রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ ঠাকুরগাঁওয়ের ভিসা আবেদন কেন্দ্রটি চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে চার জেলার মানুষের। এতে বেড়েছে জেলার পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে আবেদনকারীর সংখ্যা।
কাগজপত্র ঠিক থাকলে সর্বোচ্চ ২০ দিনে পাসপোর্ট এবং ১৫ দিনে পেয়ে যাচ্ছেন ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসা ভিসা। এতে রাজস্ব আয় বাড়ার পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যেও ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, আবেদন জমা দিতে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভিসা ও পাসপোর্ট অফিসে অপেক্ষা করছেন লোকজন। অফিস দুটির তথ্য বলছে, প্রতিদিন অন্তত অর্ধশত নতুন পাসপোর্ট ও শতাধিক ভিসার আবেদ জমা পড়ছে। আর নতুন করে ভিসা অফিসটি চালু হওয়ায় ভোগান্তি নিরসনের পাশাপাশি অর্থ সাশ্রয় হয়েছে আবেদনকারীদের। অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্যে ফিরেছে কার্মচাঞ্চল্য; বেড়েছে রাজস্ব।
তবে স্বাচ্ছন্দে ভিসা হাতে পেলেও পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ আবেদনকারীদের।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কাগজপত্র ঠিক থাকলে সর্বোচ্চ ২০ দিনে পাসপোর্ট এবং ১৫ দিনে পেয়ে যাচ্ছেন ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসা ভিসা। অল্প সময়ে পাসপোর্ট ও ভারতীয় ভিসা হাতে পাওয়ায় ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও পঞ্চগড়সহ চার জেলার মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এটি ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
জেলার হরিপুর, পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈলসহ বিভিন্নস্থান থেকে পাসপোর্ট করতে আসা আবেদনকারীরা জানান, ফরম পূরণ বা অন্যান্য কার্যক্রমে তেমন কোনো ভোগান্তি নেই।
তবে কাগজপত্র জমা দেয়ার পর একই দিনে ফিঙ্গার প্রিন্ট না নেয়ায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় যেমন হচ্ছে, তেমনি সময় অপচয় হচ্ছে। বিষয়টি একদিনে সমাধান হলে মানুষ এ থেকে পরিত্রাণ পেত।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলিম উদ্দিন বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়ছেন আবেদনকারিরা। তবে জনবল সংকট দূর করা হলেই ভালো সেবা দেয়া সম্ভব হবে।’