Related Articles
রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ধামের গানের জনপ্রিয়তা বর্তমানে আর্থিক সং।
কটের কারণে কমতে শুরু করেছে। একসময় প্রতিটি পাড়ায় এ ধামের গান ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। গ্রামের শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত যুবকরা
এ গানের পরিবেশন করতেন, যেখানে পরিবারের সব বয়।সের নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধ রাতভর মিলেমিশে বসে এ গান উপভোগ করতেন। এর বিষয়বস্তু অনেকসময় এতই আবেগময় থাকত যে, সবাই দুঃখভারাক্রান্ত হয়ে চোখের জল ফেলতেন।
প্রতিবছর কার্তিক মাসে লক্ষ্মীপূজার সময়, ঠাকুরগাঁও জে লার বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা লক্ষ্মীধামের গানের আ য়োজন করে।
এ বছর ও গত বছরের মতো এ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। হিন্দু, মুসলমানসহ সব ধর্মের নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ একত্রে বসে নাওয়া-খাওয়া ভুলে এ গান শুনতে উপভোগ করেন। জেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় দু’শতাধিক ধামের আসর শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি দারিদ্র্যের ফলে জনপ্রিয় এ ধামের গান হারিয়ে যেতে সমর্থ হচ্ছে। সরকারি কোনও অর্থ সহায়তা ছাড়া স্থানীয় যুব করা গ্রামে গ্রামে চাঁদা তুলেও এ গানের আয়োজন করছেন।
সংগৃহীত অর্থ পালাকারদের সম্মানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সংগঠনটির সভাপতি প্রিরন চন্দ্র বর্মন জানান, পালার মানের ওপর ভিত্তি করে প্রতি পালাকে দেড় হাজার থেকে তিন হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে, জনপ্রিয় পালা পরিবেশক দলের নিয়ে আয়ো জন করা হয় প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্বে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃ তীয় দলগু লোকে টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, বাইসাই কেল, হারমোনিয়া ম সহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, কোথাও কোথাও নগদ অর্থও দেওয়া হয়।
বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় কাল্পনিক চরিত্রের রচনা করা হয় এবং গ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনার ভিত্তিতে পালা তৈরি হয়।
কখনও যাত্রাপালার বই থেকেও গানের পরিবেশন করা হয়, যা গ্রামের মানুষের আনন্দ উপভোগের জন্য আয়োজন করা হয়, মন্তব্য করেন পালাকার বোদা এলাকার মলিন চন্দ্র বর্ম ন।
যদিও ধামের গানে পুরুষকেন্দ্রিক নাট্যকলার উপাদান রয়ে ছে, তবুও গ্রাম বাংলায় এই গানের প্রতি ভালোবাসা কমছে না। ধামের গান শুরু হওয়ার খবর শুনলেই এ অঞ্চলের মানুষের মনে উৎসাহ যেন সৃষ্টি হয়।
Bartabd24.com সব খবর সবার আগে