রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে গত তিন মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ। তবে পুলিশের এমন নিয়মতান্ত্রিক অভিযানে বিপাকে পড়েছেন যানবাহনচালকরা।

দুর্ঘটনা রোধে ঠাকুরগাঁও ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন চলাচলকারীদের কাছে গাড়ির কাগজপত্র খতিয়ে দেখছেন।

তারা রাস্তায় যানবাহন চলাচলে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেসসহ যাবতীয় কাগজপত্র দেখছেন এবং চালকদের সচেতন করছেন। তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ কাগজ নিয়ে চলাচল করলেই চালকদের জরিমানা করা হচ্ছে।

জেলা পুলিশের নির্দেশনায় পরিচালিত এ অভিযানে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে এমন অবস্থায় প্রত্যেক যানবাহন চলাচলকারীরা ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও জরিমানা পরিশোধের পরেও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের কাগজপত্র দেয়ায় সময়ক্ষেপণের কারণেই চরম ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। একই সঙ্গে তারা জরিমানা গুনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।

এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘বিআরটিএ থেকে সময়মতো কাগজ না পাওয়ায় আমরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছি। এ সুযোগে ট্রাফিক পুলিশ জরিমানা আদায় করছে। তবে টাকা জমার রশিদ দেখালেও তারা মানছেন না। এতে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’

এদিকে ঠাকুরগাঁও শহর ও যানবাহন পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার শাহা ও ফারুক হোসেন জানান, ‘জরিমানা আদায় মুখ্য বিষয় নয়। চালকদের সচেতনের পাশাপাশি ট্রাফিক আইন মেনে চলতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *