বৃহস্পতিবার পৌর শহরের ঘোষপাড়া এলা কার নারায়ন চন্দ্রের ছেলে সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু (৫৪) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় এ মামলা টি দায়ের করেন।
সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু কেন্দ্রীয় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএন পির সহ সাংগঠ নিক সম্পাদ কের দায়িত্বে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে ২৯৪ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫০০ জনকে আসা মি করে ১৪৩/১৪৭/ ১৪৮/৩২৩/৩ ২৪/৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭৪২৭/৪৩৫/৪৩৬/১১৪/৩৪ ধারায় ও ১৯০৩ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে তাদে র মামলাটি দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্ম কর্তা (ওসি) মো: শহিদুর রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ ক দীপক কুমার রায়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি দৌপ্রদী দেবী আগর ওয়ালা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল, পৌরসভার সাবেক মেয়র আঞ্জু মান আরা বেগম বন্যা, জেলা আওয়ামীলী গের সাংগ ঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদ ক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিয় গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, সদর উপজে লার সাবেক মহি লা ভাইস চেয়ার ম্যান তাহমিনা মোল্লা, পৌর আও য়ামীলী গের সভা পতি একরামুল হক, রুহিয়া আওয়া মী লীগের সভাপতি পার্থ সারথি সেন,আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তুলি, ছাত্রলী গের (নিষিদ্ধ সংগঠন) নেত্রী লাবণ্য সরকার দিয়া, পৌরসভার সা বেক কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুম দার, সিএম আইয়ুব বালি কা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিপেন্দ্র নাথ ঝা ও সাবেক ক্রিয়া অফি সার মহিউ দ্দীন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সহ-সভাপতি সানো য়ার পারভেজ পুলক, রয়েল বড়ুয়া, আক্তা রুল, আজাহারুল ইসলাম, মারজিনা আক্তার ঋতু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জামিরুল ইসলাম, প্রবীর গুপ্ত বুয়া, ন্যাংড়া সোহেল, ন্যাংড়া সাদ্দাম, জাকারিয়া প্রমানিক, শামিনুর রহমান চৌঃ জয়, জুম্মান, সেচ্ছা সেবক লীগ নেতা নুর ইসলাম তালাশ, কোয়ালিটি ফ্যাশনের লাভলু, আকচা ইউনিয়নের দেবীগঞ্জ বাজা রের গনেশ ঘোষ, গোবিন্দ ঘোষ, সুমন ঘোষ, জয়দেব চন্দ্র রায়, জ্যোৎস্না রানী ও ব্যবসায়ী জয় মহন্ত ও রিংকু গুহ ঠাকুরতা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উল্লেখিত ২৯৪ জন সহ অজ্ঞাত নামা ৫০০ আসামিরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচী তে ধারালো ছুরি, শটগান, লোহার রড, চাপাতী, হকিষ্টিক, চাইনি জ কুড়াল, বাঁশের লাঠি সহ মারাত্মাক অস্ত্রসস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডুসহ তাঁর লোকজ নের উপর হামলা করে এবং ককটেল বি স্ফোরণ ঘটাতে ও ধাওয়া দিতে থাকে।
আসামীদের সঙ্গে থাকা পিস্তলের ছোড়া গুলিতে উপস্থিত ছাত্র-জনতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে গুরুতর আহত হন।
আসামিদের তাণ্ডবে সেই সময় মামলার বাদী শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে দৌড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
এসময় আসামিরাও বিএনপি অফিসের চারপাশে অবস্থান নেন। তারা ককটেল ককটেল বিস্ফোরণ করলে বিএনপিএ এই নেতা প্রাণ রক্ষার্থে পার্টি অফিসে প্রবেশ করলে আসামিরা প্লাস্টিকের বোটলের প্রেট্রোল দিয়ে পার্টি অফিসে আগুন জ্বালি য়ে দেয়। এতে অফিসে আলমারিতে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্রসহ অফিস বিল্ডিং এর অবকাঠামে পুড়িয় ছাই হয়ে যায়।
এতে বিএনপি পার্টি অফিসের ৫টি ল্যাপ্টপ, ২টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, একাধিক চেয়ার-টেবি ল ও ৩টি এসি পুরে আঙার হয়ে যায়।
আনুমানিক ১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এবং সাক্ষীদের শারিরিক অবস্থা বেগতিক হলে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাস পাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
অসুস্থ থাকায় ও সাক্ষীদে র কাছ থেকে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে এজাহার দায়ে বিলম্ব হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুর রহমা ন বলেন, বুধবার রাতে সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু নামে এক ব্যাক্তি ২৯৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামীদের আইনের আওয়াতায় আনা হবে/