তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে রাজনৈতিক পরিচয়ের এক প্রভাব শা লীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতারণায় একটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি ভুক্তভোগী ছাঐড় গ্রামের আব্দুল আজি জের পুত্র রবিউজ্জামান বাদি হয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র আব্দুর রউফকে বিবাদী করে তানোর উপ জেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে,বিগত ১৯৯৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৪৪৪৫ নম্বর রেজিষ্ট্রি দলিল মুলে ১ দশমিক ৫ শত ক এবং ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ৫৬৮২ নম্বর রেজিস্ট্রি দলিল মুলে ১০ শতক পুকুর ক্রয় ও নিজ নামে খাজনা-খারি জ করেন রবিউজ্জামান।
ক্রয়কৃত এসব সম্পত্তির তফসিল মৌজা ছাঐড়,জেল নম্বর ১৭৮ আরএস খতিয়ান নম্বর ৪৬, আরএস দাগ নম্বর ৯৪৮, শ্রেণী পুকুর, পরিমান.১১৫০ একর, প্রস্তাবিত খতিয়ান ৭৩৫।
এদিকে পুকুরটি ইজমালী হওয়ায় পুকুরে মাছ চাষ করছেন আব্দুর রউফ। তিনি রবিউজ্জামানের ক্রয়কৃত অংশ ১১ দশ মিক ৫ শতক ইজারা নেন রউফ।
কিন্ত্ত দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর যাবত রবিউজ্জামানকে ইজারার কোনো টাকা দিচ্ছেন না রউফ। বিগত ৫ বছরে রউফের কাছে রবিউজ্জামানের পাও না মোট ৮৫ হাজার ৪০৭ টাকা।
অন্যদিকে পাওনা টাকা ফেরত পেতে রবিউজ্জামান বাদি হয়ে আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।কিন্ত্ত আব্দুর রউফ গ্রাম আদালতে হাজির হতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ফলে বাধ্য হয়ে রবিউজ্জামান তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে চিফ জুডিসিয়াল আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
আদালতে বিবাদী টাকা পরিশোধের বন্ড দিলে আদালত মামলাটি নথিজাত করে। পরবর্তীতে বাদি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে টাকা আদায়ের জন্য আবেদন করেন। এদিকে বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএনও উভয় পক্ষকে নিয়ে তার কার্যালয়ে বসেন।
এসময় বিবাদী রউফ বাড়ি ফিরে বাদীকে টাকা দেবার অঙ্গী কার করেন। কিন্ত্ত বাড়ি ফিরে বিবাদী রউফ বাদি রবিউ জ্জামানকে মাত্র ৪ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা দিতে অপা রগতা প্রকাশ করে রবিউজ্জামানকে নানাভাবে ভয়ভী তি ও হুমকি দিচ্ছেন।
ফলে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে পুকুর কিনে রবিউজ্জা মান বিপাকে পড়েছেন। একদিকে টাকা পা চ্ছেন না,অন্য দিকে প্রাণনাশের হুমকি নিয়ে চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।এবিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুর রউফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।#