আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও) মো স্তাফিজুর রহমানের প্রচেষ্টায় বদলে গেছে অফিস পাড়া তথা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর। ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান তার মেধা ও কর্ম দক্ষতা দিয়ে কাজ করে ইতিমধ্যে তিনি জন বা ন্ধব কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন ও পরিচিতি পে য়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে।
সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে ইউএনও’র সৌহার্দপূর্ণ আচরণ সর্ব মহ লে প্রসংশিত হয়েছে। তার আন্তরিকতায় ইউএনও অফিসের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে গতিশীল হয়েছে কাজ, দুর হয়েছে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি। তিনি যোগদানের পর থেকে সাধারণ মানুষ কোনো হয়রানি ছাড়াই এই অফিস থেকে কা ঙ্খিত সেবা পেতে শুরু করেছেন।
অফিস চত্ত্বরে ফুল বাগান ছিমছাম অনেকটা নিরিবিলি পরি বেশ। দালালচক্রের দৌরাত্ব নেই। সেবা প্রার্থীরা আসছেন সরাসরি ইউএনও সাহেবের সঙ্গে কথা বলে কাজ সারছেন যথারীতি বিদায় নিচ্ছেন। কোনো হয়রানি বা ভোগান্তি নেই। বেড়েছে সেবার মান।
জানা গেছে, বিগত দিনে উপজেলা পরিষদ ভবন ছিল জরা জীর্ণ পরিবেশ ছিল অনেকটা নোংরা। কিন্ত্ত সেই চেনা দৃশ্য আর নাই। ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমানের প্রচেষ্টায় পরিষ দের প্রতিটি কার্যালয়ে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া পাল্টে গেছে পরিষদ চত্ত্বরের পরিবেশ,এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ফিরেছে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য।
বিশেষ করে ইউএনও’র তত্ত্বাবধানে  আশ্রায়ণ প্রকল্পের সাফ ল্য দেশের মধ্যে মডেল হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রায়ণ প্রকল্পে নানা অভিযোগ উঠলেও তানোর ব্যতিক্রম। এখানে এখানো আশ্রায়ণ প্রকল্প নিয়ে কারো কোনো অভি যোগ আসেনি।
ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমানের প্রচেষ্টায় বদলে গেছে উপ জেলা পরিষদ চত্বরের দৃশ্য।পরিষদ চত্বরের বিভিন্ন দপ্তরকে করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন, লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া, মডেল মসজিদ নির্মাণ।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করলেই দৃষ্টিগোচর হয় এসব দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ যা সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী, উপজেলা চেয়ার ম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার সহযোগীতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মোস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাব ধানে পরিষদ চত্বরে নির্মিত হয়েছে ডিজিটাল  বোর্ড যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারছেন।
মডেল মসজিদ ও দপ্তরগুলো হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবি ধাসহ দৃষ্টিনন্দন। সৌন্দর্য বর্ধনে পুকুর পাড়ের চারিদিকে করা হয়েছে টাইলস, বসার স্থান, গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন রক মের ফলজ বনজ ও ফুলের বাগানসহ পাখির অভয়ারণ্যে। এছাড়াও পুরাতন অফিসার্স ক্লাব করা হয়েছে সংষ্কার।
ইউএনও’র নিরাপত্তা কর্মী আনসার বাহিনীর জন্য করা হয়ে ছে নতুন ব্যারাক পাকা ঘর।ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমানের সদিচ্ছা ও প্রচেষ্টায় পরিষদ চত্বরের এসব উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হয়েছে। অথচ তিনি এখানে যোগদানের  আগেও উপ জেলা পরিষদ ছিল অগোছালো।
কিন্তু  উপজেলা প্রশাসনের সুদক্ষ ও তরুণ কর্মকর্তা  ইউ এন ও মোস্তাফিজুর রহমান যো গদানের পর থেকে তার সর্বোচ্চ মেধাশক্তি ও শ্রম দিয়ে উপ জেলার জনসাধারণের জীবন মানোন্নয়নে নিরবে-নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও তার সময়ে উপজেলা পরিষ দের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারী অফিস সময় ও নিয়ম-নীতি মেনে অফিস করার তাগিদ দিয়েছেন।
এতে কমেছে অফিস ফাঁকি বেড়েছে সেবার মান। ফলে সক ল দপ্তরে বন্ধ হয়েছে হয়রানি। সেবা প্রার্থীরা  সহজেই সকল দপ্তর থেকে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এটিএম কাওসার আলী বলেন, ইউএনও মহোদয় অত্যন্ত ভাল মনের মানুষ তিনি সব সময় সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্ধু সুলভ আচরণ করে সঠিক কাজ বুঝে নেন।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো স্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি প্রজান্ত্রের একজন কর্ম চারী হিসেবে জনগণের সেবা করতে চান।
তিনি বলেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত উপজেলাবাসীর জীবন মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি যতোদিন এখানে আছেন ততোদিন তার সর্বোচ্চ দিয়ে জনগ ণের পাশে থেকে সেবা করে যাওয়া র চেষ্টা করবেন। আর এই জন্য তিনি সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *