Related Articles
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি কথিত (এনজিও) গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে রাতারাতি উধাও হয়েছে।অভিযোগ রয়েছে, স্থা নীয় প্রভাবশালী খাইরুল ইসলামের সহযোগিতায় মাই ক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি’র (এমআরএ) অনু মোদন ব্যতিত কথিত এনজিও ‘উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে রাতারাতি উধাও।
জানা গেছে ,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় প্রধান কার্যালয় করে তানোর ও নাচোলসহ বিভিন্ন উপজেলায় শাখা অফিস খুলে অবৈধভাবে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরি চালনার নামে সাধারণ গ্রাহকদের উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দিয়ে ডিপিএস ও সঞ্চয় জমা নিয়ে রাতারাতি উধাও।
এঘটনায় আবু বাক্কার,সেলিনা ও রিপন বাদি হয়ে সাইদুর রহমান,খাইরুল ইসলাম,সুমন ও মুকুলকে আ সামি করে আদালতে একটি মামলাও করেছেন যা বিচারাধীন রয়ে ছে। আসামিরা কিছুদিন কারাভোগও করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের খাইরুল ইসলামের সহযোগিতায় মুন্ডুমালা পৌর সদরে একটি ভা ড়া বাড়িতে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার শাখা অফিস খোলা হয়।
দশ বছরে জমা টাকা দিগুন ও এক লাখ টা।কায় বছরে ১৫ হাজার টাকা মুনাফা দেবার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহ কের কাছে থেকে ডিপিএস ও সঞ্চয় জমা নেয়া হয়।
চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, এরিয়া ম্যানেজার শিবরামপুর গ্রামের মৃত আজাদ আলীর পুত্র খায়রুল ইসলাম এবং মাঠকর্মী সাতপুকুরিয়া গ্রামের মৃত শাহাবু দ্দিনের পুত্র মুকুল ও শিবরামপুর গ্রামের শাহজাহা নের পুত্র সুমন আলী।এরিয়া ম্যানেজার খাইরুল ইসলাম সব দেখভাল করতেন।
এদিকে শিবরামপুর গ্রামের মাঞ্জেরা বেগম, সেলিনা, সুমন রানা ও রুবিনা অভিযোগ করে বলেন,এরিয়া ম্যানেজার খাইরুল ইসলামের কথা বিশ্বাস করে তারা উত্তরবঙ্গ সমি তিতে টাকা জমা করেছেন।খাইরুল তাদের বলে ছিলেন তিনি গ্রামের মানুষ টাকা যদি খোয়া যায় তাহলে তিনি তার ক্ষতিপূরণ দিবেন। এবং তারা খাইরুলের কাছে টাকা জমা দিয়েছেন।
কিন্ত্ত হঠাৎ করেই সমিতি উধাও হয়েছে। এখন তারা খাই রুল ইসলামের কাছে টাকা চাইলে তিনি বলছেন,তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন টাকার বিষয়ে কিছুই করতে পা রবেন না।অথচ খাইরুল সমিতির টাকা হাতিয়ে রাতারাতি বিপুল টাকার মালিক হয়েছেন।এমনকি তার ভাইকে ব্য বসা করতে টা কা দিয়েছেন।
সরেজমিন তদন্ত করলেই অভিযোগের সত্যতা নিম্চিত হবে। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের উ র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) শিব রামপুর গ্রামের ২২ জন গ্রাহকের কাছে থেকে ৬৬ লাখ টাকা নিয়েছে।
শিবরামপুর গ্রামের মহাসিন আলী হিসাব নম্বর ২৬৭, টাকা জমার পরিমাণ ৩ লাখ,আলতাফুর রহমান হিসাব নম্বর ৪৫০,জমা টাকার পরিমাণ ২ লাখ, মেরিনা হিসাব নম্বর ২২৩২ জমা টাকার পরিমান এক লাখ ৫ হাজা র,রু বিনা হিসাব নম্বর ৪২৫ জমা টাকার পরিমাণ এক লাখ ৪০ হাজার ও সুমন রানা হিসাব নম্বর ৩৩৬ জমা টাকার পরি মান ৫ লাখ টাকা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে খাইরুল ইস লাম এসব অভি যোগ অস্বীকার করে বলে ন,তিনি এক সময় ওই সমি।তিতে চাকরি করতেন, তবে অনেক আগেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলে ন,আ দালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।#

Bartabd24.com সব খবর সবার আগে
তানোরে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রতারণায় অসংখ্য মানুষ নিঃস্ব