আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরের বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) নারায় নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়ুব আলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৮ আগষ্ট।
বুধবার ৫৫ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অবগতির জন্য অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসক কার্যালয়, জেলা দূর্নীতি দমন কমিশন, জেলা ও এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়ে ছে।
গত ৫ আগষ্টের পরদিন ৬ আগষ্ট বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি স্কুল মাঠে প্রধান শিক্ষককে উত্তমমধ্যম দিয়েছে। এঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসছে না।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিগত প্রায় ৬ মাস আগে স্কুলে আয়া, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, গেটম্যান ও অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে প্রধান শিক্ষক।
অথচ প্রতি বছর স্কুলের মাটির দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে। যে কা রনে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চাই না। ক্লাস চলা অবস্থায় কয়েকবার দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে এবং শিক্ষার্থী আহত হয়। পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়, বিনা মূল্যের বই বিতরণে টাকা আদায়, অতিরিক্ত বই ফেরত না দিয়ে বিক্রি ও স্কুল একাউন্ট থেকে নিজের ইচ্ছে মত টাকা তুলেন প্রধান শিক্ষ ক। স্কুলের ৫০ শতক জমি দু’ ছরের জন্য দু’লাখ টাকায় অফিস সহায়কের কাছে বন্ধক রাখে প্রধান শিক্ষক। কিন্ত্ত দু’বছর পর ফেরত নেয়ার কথা থাকলেও গোপনে টাকা নিয়ে ফের বন্ধক রাকা হয়।
এছাড়াও কয়েক বছর আগে স্কুলের সামনে থাকা শিশু গাছ বিক্রি করে পুরো টাকা হজম করেন প্রধান শিক্ষক। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের বিকাশ-নগদ একাউন্ট খোলার জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ১৫০ টাকা করে আদায় করা হয়। সার্টিফিকেটের জন্য ৫০০, মার্কশীট দেয়ার জন্য ৩০০ ও পরীক্ষায় প্রবেশপত্রের ৩০০ টাকা করে আদায় করে থাকেন।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিলের নামে প্রতি মাসে মাথা পিছু ৫০ টাকা করে আদায় করে প্রধান শিক্ষক। এভাবে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন প্রধান শিক্ষক আয়ুব আলী।
অভিভাবকগণ জানান, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে অব হেলি ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিগত সরকারের সময়ে তিল পরিমান উন্নয়ন হয়নি। বৃষ্টির পানি হলেই ক্লাস রুমে পড়ে। যার কার নে শিক্ষার্থীরাও স্কুলে আসতে চায় না। প্রধান শিক্ষক লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে রাজশাহী শহরে কয়েকটি বিলাস বহুল ফ্লাট-বাড়ি কিনেছেন। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আস বে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দলীয় প্রভাব বিস্তার করে তিনি এসব অনিয়ম করেছেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তার পর থেকে সে স্কুলে আসে না। তার বিরুদ্ধে বিভাগী য় তদন্তের দাবি অভিভাবক মহলের।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আয়ুব আলীর সঙ্গে মোবাইলে যোগা যোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয় টি ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট স্কুলে গেলে আমাকে লাঞ্ছিত করে। এঘটনায় আমি অভি যোগ করি এবং সহিদু লকে শোকজ করি। মুলত একারনে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
আমি অভিযোগের জবাব দিতে প্রস্তুত। আপনি স্কুলে আস ছেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আজও স্কুলে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু শিক্ষক সমিতির মিটিংয়ে ছিলাম।
আত্মসাৎ করা টাকা দিয়ে শহরে বিলাস বহুল ফ্লাট কিনেছেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখবে।
।
এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#