Related Articles
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌর সদরে বিএনপি নেতার মালি কাধীন ভবনে গড়ে উঠা দি পদ্মা ক্লিনি ক এ্যা ন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক মুত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ৭ অক্টোবর মঙ্গলবার নবজাতকের পিতা আব্দুর রা জ্জাক বাদি হয়ে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এদিকে অভিযোগ তুলে নিয়ে মিমাংসার জন্য রাজ্জাককে নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর শনিবার মুন্ডুমালা পৌর এলা কার মুন্ডুমালা ভাটার মোড় মহল্লার আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী সোহানা বেগমের প্রসব বেদনা দেখা দেয়।এমতাবস্থায় শনিবার সকালে ক্লিনিকের এক দালালের খপ্পরে পড়ে তারা প্রসুতিকে দি পদ্মা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান।প্রথমেই রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষার কথা বলে ২৪০০ টাকা হাতিয়ে ক্লিনিকের কথিত মালিক বাবু।
পরবর্তীতে বিকেলে চিকিৎসক মোস্তাক আহম্মেদ ফয়সাল প্রসুতি র অস্ত্রোপাচার করেন।প্রসুতি ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।এদিকে নবজাতকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন দেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্ত্ত ক্লিনিক মালিক বাবু নিজেই নবজাতকের পাঁয়ে ইঞ্জেকশন পুশ করেন।
এর পরই নবজাতকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।এক পর্যা য়ে বাবু ক্লিনিক থেকে জোরপুর্বক নবজাতককে রাজ শাহী নিয়ে যেতে বাধ্য করেন বলে জানান নবজাতকের পিতা আব্দুর রাজ্জা ক।রাজ্জাক বলেন, রাজশাহী নেয়ার পথেই নবজাতকের মুত্যু হয়।তিনি বলেন,তার সন্তানের মৃত্যুর জন্য বাবু দায়ী,তিনি ক্লিনিক বন্ধ করাসহ বাবুর কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ১০ শয্যার একটি বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের জন্য সার্বক্ষণিক এক জন এমবিবিএস চিকিৎসক ও একজন প্রশিক্ষিত সেবিকা থাকার বিধান রয়েছে।
আর ডায়াবে টিকস বিভাগের জন্য স্ব-স্ব সেক্টরে সরকার অনু মো দিত ও প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এসব নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করেই দি পদ্মা ক্লি নিক এ্যা ন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ গড়ে তোলা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দি পদ্মা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগন স্টিক সে ন্টারেের শাহজামাল বাবু বলেন, অপারেশনের আগে বলা হয়ে ছিল বাচ্চার অবস্থা ভালো না, তাই বাচ্চার কোনো সমস্যা হলে সেই দায় তারা নিবেন না,এমন মুচলেকা নেয়ার পর অপারেশন করা হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন এস আই এম রাজিউল করিম বলে ন, তারা এরকম কোনো অভিযোগ পাননি,তবে এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আফজাল হোসেন বলেন,অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Bartabd24.com সব খবর সবার আগে