আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে তৃতীয় শ্রেণীর এক মেধাবী শিক্ষার্থীকে দিগম্বর ও গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরানোর হুমকি দিয়েছেন ওই স্কুলেরই সহকারি শিক্ষক।
উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) নড়িয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক তানিয়া খাতুন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী মোসাব্বির হোসেন আলিফকে দিগম্বর ও গলায়জু তার মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরাতে চেয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ৩ জুন সোমবার অভিভাবক রুমি খাতুন বাদি হয়ে সহকারী শিক্ষক তানিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করে ছেন। এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চ ল্যের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। স্থানীয় অভি ভাবক মহল অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃস্টান্তমুলক শাস্তি ও অপ সারণের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, নড়িয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাল য়ের তৃতীয় শ্রেণির নিয়মিত শিক্ষার্থী মোসাব্বির হোসেন (আ লিফ)। গত ২৯ মে বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে যান।
এদিন  সহকারী তানিয়া খাতুন ক্লাস রুমে সকল শিক্ষার্থীদের সামনে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আলিফকে বলে যে, তোকে ল্যাং টা করে, গলায় জুতোর মালা দিয়ে, বদনা কানের দুল বানি য়ে, তোর মুখে চুন-কালি দিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরাবো।
আলিফ কারণ জানতে চাইলে তানিয়া বলে তুই নাকি তোর প্যান্ট খুলতে চেয়েছিস। তখন আলিফ বলে সে এই কথা বলেনি। কিন্ত্ত তানিয়া শিক্ষার্থী আলিফকে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করা সহ কুরুচিপূর্ণ কথাবর্তা বলে এবং স্কুলে যেতে নিষেধ করে। এ ঘটনার পর থেকে আলিফ স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।এদিকে অন্য অভিভাবকগণ এই ঘটনার বিচার না হলে তাদের সন্তানদের এই স্কুলে লেখা পড়া করাবে না বলে ঘোষণা দিযেছে।
অপরদিকে,গত ৩০মে বৃহস্পতিবার আলিফের মা ও দাদী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে এঘটনা জানালে  প্রধান শিক্ষক অনুতপ্ত এবং ভুল স্বীকার করেন।কিন্ত্ত সহকারী শিক্ষক তানিয়া তাদেরকে বলে তোরা এখানে কেন ?
তোরা কিসের অভিযোগ নিয়ে এসেছিস ? তোদের ব্যবস্থা করা হবে বলে হুমকি দেন। কিন্তু এসময় তানিয়ার স্বামী  মাদারিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোহিদুর রহমান মুকুল এসে আলিফ ও তার  মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি এমনকি তাদের গলাধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেবার হুমকি দেন।
শিক্ষার্থী আলিফ এর মা রুমি খাতুব বলেন, তারা ছোট শিশু আর শিক্ষিকা মায়ের মতো।অথচ তারাই যদি এসব কোমল মতি শিশুদের এমন কথাবার্তা বলে তাহলে তারা তাদের কি শিক্ষা দিবে।
প্রসঙ্গত, সহকারী শিক্ষক তানিয়ার বিভিন্ন ধরণের খারাপ আচরণ ও দূর্ব্যবহারের কারণে ইতিপূর্বে আরো অনেক শিক্ষা র্থী নড়িয়াল স্কুল থেকে অন্য স্কুলে চলে গেছে। তদন্ত করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক তানিয়া খাতুন বলে ন, আমার কথা কি বিশ্বাস কর বেন, পরে কথা বলছি বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এবিষয়ে নড়িয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষ ক মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মিমাংসা করে দিয়েছিলাম, শিক্ষিকা ও ভূল স্বীকার করেছি ল। কিন্তু তার স্বামী বেশি বাড়াবাড়ি করার কারনে এসব হয়ে ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) মোস্তাফি জুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *