আকিমুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
সপ্তাহজুড়ে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। অসহ্য গরম আর খাঁ খাঁ রোদে শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলোতে মানুষের চলাচল কমে গেছে।
খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
এরই মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জা না গেছে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ মাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাপপ্রবাহের কার ণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে।
অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে।
তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকেই গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন।
কেউবা আবার লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। শহরের কয়েকজন রিকশাচালক বলেন, রোদের তাপে মনে হচ্ছে শরীর পুড়ে যাচ্ছে।
সকাল ও বিকেলের পর থেকে যাত্রী পেলেও দুপুরে বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ফাঁকা। পেটের দায়ে এই তীব্র গরমেও রিকশা চালাতে হচ্ছে।
শহরের বড়বাজার চৌরাস্তার মোড়ে এক শরবত বিক্রেতা বলেন, গরমের কারণে শরবত বিক্রি বেড়েছে। পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান কর ছেন লোকজন।
চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে জে লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, তাপ প্রবাহের ক্ষতি থেকে ধান রক্ষার জন্য ধানের শীষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই ৫-৭ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখুন। এ সময় জমিতে যেন পানির ঘাটতি না হয়।