আকিমুল ইসলাম জীবননগর( চুয়াডাঙ্গা)  : চলতি মৌ সুমে দওনগর কৃষি ফার্মে ১৪৭৪ একর জমিতে ২০ ১৮. ৪০০ মেট্রিকটন ভিত্তি বীজ উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা নিয়ে ধান কর্তন শুরু হয়েছে। দেশের ৬০ ভাগ ভিত্তি  বীজ এই ফার্ম থেকে সরবরাহ করা হয়।
বৃটিশ আমলে দত্ত বাবুর রেখে যাওয়া ফার্মটি এখন দও নগর কৃষিফার্ম।ফার্মটি এশিয়া মহাদেশের বৃহওতম কৃষি ফার্ম। এখানে প্রায় তিন হাজার (৩০০০) একর জমি রয়েছে যা  চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর  উপজেলার কিছু এলাকা নিয়ে ও ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপ জেলার বৃহত্তর এলাকা নিয়ে ৫ টি বীজ উৎপা দন খা মার । 
প্রতি বীজ উৎপাদন খামারে ১ জন করে উপ-পরি চা লক এবং ৫টি খামারের আরো ১ জন যুগ্ন-পরিচার রয়েছেন।
বীজ উৎপাদন খামার গুলো হলো  মথুরা বীজ উৎ পাদন খামার গোকুলন গর,কুশা ডাঙ্গা,পাথিলাও,করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামার। 
পাঁচটি বীজ উৎপাদন খামারে এবছর ১৪৭৪ একর জ মিতে বীজ উৎপাদনের জন্য আমন ধা নের চাষাবাদ করা হয়েছে। এখান থেকে বি-আর ১০, ১১,২২,ব্রি-ধান ৩৪,৩৯,৪৯ ,৫১,৫২,৭১ ,৭৫ ্,৯৪,৯৫ বিনা-ধান ০৭,১৭, ২০ ইত্যাদি ধানের আ বাদ করা হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীর জাতের ট্রাইল করা হচ্ছে । ১৫ জাতের ভিত্তি বীজ তৈরী করা হবে।
মথুরা বীজ উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শফিকুর রহমান বলেন ৮০% ধান পাকলে কাঁটা হয় এবং শুকা নোর পর যন্ত্রের মাধ্যমে গ্রেডিংকরা হয়।
কাঙ্খিত মানের বীজ গ্রহন করে ৫০ কেজি বস্তা বন্দি করে বীজ প্রক্রি য়াজাত করণ কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয় এবং কন্ট্রাকট গ্রো য়াসের চাষীদের মাধ্যমে পরের বছর প্রত্যায়িত বীজ তৈরী করে চাষীদের কাছে সরবরাহ করা হয়।বীজ উৎ পাদনের অধিকাংশ কাজ যান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
কুশাডাঙ্গা বীজ উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃ ষিবিদ রেজাউল করিম বলেন দওনগর কৃষিফার্ম থেকে দেশের ৬০ ভাগ ভিত্তি বীজ উৎপাদন করা হয়ে থাকে।
এছাড়া এই বীজ ষাধারণ বীজ থেকে ২০% ফলন বেশি গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামারে এ বছর সব থেকে বেশি ৩৫৯ একর জমিতে চাষাবাদ করা  হয়েছে।
কৃষিবিদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন  ১৫ প্রকার ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন ১৪৭৪ একর জমি থেকে ২০১৮.৪০০ মেট্রিকটন লক্ষ মাত্রা নি ধ্যারন করা হয়েছে।
এখান থেকে ৪,৩৬,৮০০ মেট্রি কটন প্রত্যায়িত বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
এইবীজ দিয়ে ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮০ হাজার একর জমি তে চাষীরা ধানের চাষ করতে পারবে। তিনি বলেন দও নগর বীজ উৎপাদন খামারে খাদ্য উৎপাদনে দেশের ম ধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। খাদ্য চাহিদা মেটা তে এখানে ধান ছাড়া ও আলু,পাঠ,ভূট্টা,ও সবজির বীজ উৎপাদন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *