রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠে ছে।
ভূল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফু ল ইসলাম সরকার দাবি করছেন, তিনি আটক এক আসামিকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছেন।
অথচ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমা ন বলছেন, তারা এমন কোনো আসামি গ্রহণ করেননি।
এ ঘটনায় পুলিশের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব পালন নিয়ে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউ লিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগ ঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে ভূল্লী থানা পুলি শ।
ভূল্লী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সরকার শুক্রবার রাত সাড়ে ১টার দিকে জানান, ওই দিন দুপুর ৪টায় আটক ব্যক্তিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কিন্তু (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভূল্লী থানা আমাদের কাছে কোনো আসামি হস্তান্তর করে নি। আমরা এমন কাউকে আটকও করিনি।
ভুল্লী থানার ওসির কথা বলতেই তিনি আরিফ নামে এক ব্যক্তি দেখিয়ে দেন কথা বলার জন্য।
আরিফ কে এমন প্রশ্ন করাতেই তিনি উগ্র আচরণ করে মুঠোফোনে র লাইন কেটে দেন।
এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে আসামি গেল কোথায়?
এ বিষয়ে জানতে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম এর সঙ্গে রাতেই যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয় টি আমি অবগত রয়ে ছি। ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি।
কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি। পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের রহস্যজনক নীরবতা।
গোপন সূত্রের দাবি, মোহাম্মদ আলীকে আসলে সদর থানায় নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও সদর থানায় এম ন অভিযোগ উঠেছিল।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক দিন ধরেই শুনছি, টাকা দিলেই আসা মি ছাড়া যায়। এর আগেও এমন এক ঘটনায় এক এএসআইকে বদলি করা হয়েছিল।
পুলিশের এমন ভূমিকা আইনের শাসনের প্রতি মানু ষের আস্থা নষ্ট করছে।
অনেকেরই প্রশ্ন, আইনের শাসন কি কেবল দুর্বল দের জন্য? প্রভা বশালী হলে কি পুলিশও অসহায় হয়ে পড়ে?
এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত তদন্ত করে দোষী দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত- এমন টাই মনে করছেন সং শ্লিষ্টরা।
অন্যথায়, পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা আ রও দুর্বল হয়ে পড়বে।