দুর্নীতি দমন কমিশন, দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, ও দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত একটি কমিশন। এটি ২০০৪ সালের ৯ মে মাসের দুর্নীতি দমন আইন অনুসারে কার্যকর হয়েছে। একজন চেয়ারম্যান ও দুজন কমিশনার নিয়ে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয় ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত।
এ সংস্থার লক্ষ্য হচ্ছে দেশে দুর্নীতি ও দুর্নীতিমূলক কাজ প্রতিরোধ করা। যে কোনো ব্যক্তি অথবা সংস্থার বিরুদ্ধে কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়ে কোনো অভিযোগ সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বিভাগীয় অথবা সেগুনবাগিচা, ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় প্রেরণ করা যাবে।
তবে আমি জাতির কাছে তুলে ধরতে চাই। ক্ষমতাসীনরা টিকে থাকার জন্য বরাবর দূর্নীতিকে স্বাধীন করে দেয়। তাই দূর্নীতিবাজরা লাগাম হীন হয়ে পড়ে। সংঘবদ্ধ দূর্নীতিবাজরা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসে। জাতীয় সংসদে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আইন পাশ হয়।
কিন্তু দূর্নীতিব্জাদের শাস্তি কি হওয়া উচিত তা নিয়ে কোন আইন পাশ হয় না।  দূর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক দেশ ব্যাপী দূর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালন করে।
দেশব্যাপী দূর্র্নীতি প্রতিরোধ কমিটির শ্রেষ্ট্র জেলা-উপজেলা কমিটিকে বাছাই করে দুদক কর্তৃক সংবর্ধনা ও পুরস্কার প্রদান করে। এ জন্য দুদক কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো দুদক কি আসলেই স্বাধীন আর দূর্নীতি মুক্ত ? এ প্রশ্ন শুধু আমার নয় গোটা জাতির। আমরা বলি দুদক স্বাধীন,নির্বাচন কমিশন স্বাধীন,মানবাধকিার কমিশন স্বাধীন,বিচার বিভাগ স্বাধীন ।
তারপরেও এ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে এতো কথা উঠে কেন ? দুদকের বিভিন্ন মামলার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন মহলে পাল্টা পাল্টি প্রশ্ন উঠে দুদক হলো পক্ষপাত দুষ্ট।
ক্ষমতাসীন দলের রাঘব বোয়ালরা দুদকের মামলা থেকে শেষ মেষ ছাড় পায়। আর বিরোধী পক্ষের লোকজন দুদকের মামলার ঘানি টানে।
এটা যদি সত্য হয় দুদকের সকল স্বপ্নই ভেস্তে যাবে। এ সকল প্রশ্ন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে দুদককে। তা সম্ভব না হলে দুদকের জনসমর্থন বা সম্পৃক্ততা জিরো বাইনাসে পৌঁছাতে পারে।
এ জন্য দুদক কর্তৃপক্ষক বলবো দেশের শীর্ষ দূর্নীতিবাজদের দৃশ্যমান শাস্তির উদ্যোগ নিতেই হবে। তা সম্ভাব না হলে অবশ্যই তাদেরকে চাপের মধ্যে রাখতে হবে।
 রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বদিউজ্জমান বলেছেন যেখানে উন্নয়নের কথা সেখানে উন্নয়নের বদলে চলছে দূর্নীতি। যা দুঃখ জনক ও লজ্জা জনক।
ওই সময় উন্নয়ন প্রকল্পের দূর্নীতির অভিযোগ এনে ১টি দাতা সংস্থার বরাদ্ধ ফেরত নিয়ে গেছে।
এরআগে তৎকালীন দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান চাকুরী থেকে অবসরের যাবার প্রাক্কালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মন্তব্য করেছিলেন দুদক হলো নখ ও দন্ত বিহীন বাঘ।
 দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের ২০২১ সালের ৩ মার্চ মেয়াদ শেষ হয়েছে।  তার সময়কালটাও আমরা উপলব্ধি করেছি।
 তাই এবার আমাদের সবার দেখার পালা  সর্বশেষ বর্তমান  চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ আগামী দিনগুলোতে দুদক একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেশের জন্য কি দৃষ্ঠান্ত দেখাবেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *