কৃষি বিভাগের তথ্য মোতাবেক এ মওসুমে জেলার ৮ উপজেলায় কমপক্ষে ১ লাখ কেজি মধু আহরিত হবে। এ বছর জেলায় ৯১ জন মৌয়াল সরিষা ক্ষে তের পাশে ৮ হাজা ৩শ ৭৮টি মৌবাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন।
এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৫ জন মৌয়াল ৬১৫টি বাক্স, রানীনগর উপজেলায় ১ জন মৌয়াল ১০টি বাক্স, আত্রাই উপ জেলায় ৮ জন মৌয়াল৫৪৫টি বাক্স, ধামইরহাট উপজেলায় ২জন মৌয়াল ১০টি বাক্স, সাপাহার উপজেলায় ১৬ জন মৌয়াল ২৩২ ০টি বাক্স, পোরশা উপজেলায় ৬ জন মৌয়াল৬২৩টি বাক্স, মান্দা উপজেলায় ৫০ জন মৌয়াল ৪২০০টি বাক্স এবং নিয়ামতপুর উপ জেলায় ৩ জন মৌয়াল ৫৫টি বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন।
মান্দা উপজেলার গোপালপুর মাঠে মধু আহরণ করছেন রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলাধীন কেশরহাট এলাকার মুসা মীর-এর পুত্র মোঃ জহিরমীর তার ভাতিজা মোঃ মুরাদ মীর-এর পুত্র মোঃ মোরশেদ আলী।
তারা এই মাঠে ৪শটি বাক্স বসিয়েছেন। প্রতি ৫/৬ দিন পর প্রতিটি বাক্স থেকে কমপক্ষে ৩ কেজি করে মধু সংগ্রহ করতে পারেন।
তাদের সংগৃহীত মধু রাজশাহীতে একটি নির্দিষ্ট ব্যাব সা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে থাকেন।
স্থানীয় খুচরা ক্রেতাদের নিকট ৪শ টাকা কেজি বিক্রি করলেও পাইকারিভাবে তারা প্রতি কেজি মধু তারা ৩০০ টাকায় বিক্রি করে থাকেন।
কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন উল্লিখিত পরিমাণ বাক্স থেকে এবছর কমপক্ষে ১ লাখ কেজি মধু সংগৃহীত হবে।
পাইকারি মূল্য প্রতি কেজি ৩০০ কাকাই বিক্রি হলেওসংগৃহীত পুরো মধুর মোট মূল্য ৩ কোটি টাকার ও বেশি।
কৃষি বিভাগের সূত্র মতে গত ১২ জানুয়ারি রবিবার পর্যন্ত জেলায় ৩৬ হাজার ২৯৫ কেজি মধু আহরণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরো বলেছেন চল তি মওসুমে নওগাঁ জেলায় মোট ৬০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে।
তিনি বলেছেন সরিষা আবাদের পাশে মৌমাছি চাষ করার ফলে পরাগায়নের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ শতাংশ সরিষার ফলন বেশী হচ্ছে।
এর ফলে একদিকে যেমন মধু আহরণ করে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হচ্ছে অন্যদিকে সরি ষার ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে ১০ শতাংশ। এর ফলে কৃষি
বিভাগ সরিষা আমাদের পাশে মৌ বাক্স বসিয়ে মৌমাছি চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌবাক্স বসিয়ে মৌমাছি চাষ