ডেস্ক নিউজ: দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছে ট্রেন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ভাঙা স্টেশন থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। ২টা ৪৭ মিনিটে ট্রেনটি শিবচর প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুতে উঠে। ৩টা ১৩ মিনিটে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে। পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে সময় লাগে ১৬ মিনিট। এসময় পদ্মাপাড়ের শিবচরের সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রেন চলাচল নিয়ে অন্যরকম উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শিবচরের পদ্মাস্টেশনে এসে দেখা গেছে, কর্মব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় অনেকেই এসে ঘুরে ফিরে দেখছেন স্টেশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাগে ভাগ করে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। দিন-রাত দুই শিফটেই চলছে কার্যক্রম। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি ভায়াডাকের ওপর পাথরবিহীন প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেল সেতু স্থাপন হচ্ছে মূল সেতুতে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা বেজে ২১ মিনিটে ভাঙা স্টেশন থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভায়াডাক উড়াল রেললাইন চার কিলোমিটার আর মাটির ওপর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার। ভায়াডাকের চার কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে পাথরবিহীন। আর ২৮ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে পাথর দিয়ে।
জাজিরা প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত তিনটি স্টেশন রয়েছে। শিবচরে ২ টি স্টেশন এবং ভাঙ্গায় জংশন রয়েছে। স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙ্গা জংশনটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা-পদ্মা সেতু হয়ে নতুন চার জেলা (মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল) অতিক্রম করে যশোরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটারের অংশে আগামী সেপ্টেম্বর যাত্রীবাহী রেল চলাচল করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথে লেভেল ক্রসিংবিহীন ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস ও ১৩টি রেল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের রেল স্টেশনসহ নতুন ১৪টি স্টেশন নির্মাণ ও পুরনো ছয়টি স্টেশনের কাজ।