বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম। এর আগে মঙ্গলবার রাতে চরতারাপুরের শুকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নেতা ফেরদৌস আলম ফিরোজ খান চরতারাপুর ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শুকচর গ্রামের মো. বকুল খানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, বাড়ি সদর উপজেলায় হলেও ফিরোজ সুজানগরের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা এবং চরতারাপুরের বালিয়াডাঙ্গী ও দিঘী গোহাইলবাড়িসহ কয়েকটি বালুমহলের নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এতে বাধা দিলে মাঝেমধ্যে এলাকাবাসীদের বাড়িঘরে হামলা এবং নানা হুমকি-ধামকি দেন। এসব বিরোধ এবং সর্বশেষ তারাবির নামাজ পড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে প্রায় অর্ধশত সহযোগি নিয়ে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলযোগে শুকচর গ্রামের শামসুল প্রামাণিকের বাড়িতে হামলা করেন।
তারা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর শুরু করেন। ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ঘুমন্ত কয়েকজনকে টেনেহিঁচরে বের করে বেধড়ক মারধর করেন। এসময় বাড়ির নারী সদস্যদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে ৭টি মোটসাইকেল রেখেই পালিয়ে যান ফেরদৌস আলম ফিরোজ ও তার সহযোগিরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ ৭টি মোটসাইকেল উদ্ধার করেন।
তবে ঘটনা স্বীকার করলেও নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত নেতা ফেরদৌস আলম ফিরোজ খান। তিনি বলেন, ‘তারাবির নামাজে ছেলেপেলেদের সঙ্গে একটা ঝামেলা হয়েছি। পরে এটা নিয়ে তাদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি ঘটনা ঘটেছে। আমি সেই ঘটনা শুনে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে বালুমহল নিয়ে কোনও ঘটনা ঘটেনি।’
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘তারাবির নামাজ পড়া নিয়ে দুই পক্ষের ঝামেলা হয়েছিল। একপক্ষ মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করেছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।