স্বাস্থ্য ডেস্ক:ফল খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। একেক ফলে রয়েছে একেক ধরনের পুষ্টিগুণ। এই সময়ে যে ফলগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

তরমুজ : গরমে তরমুজ যেন প্রাণে নতুন প্রেরণা দেয়। মৃগীরোগ, পিত্ত সমস্যা, জন্ডিস, মস্তিষ্কের কোনো সমস্যায় তরমুজ খেলে বেশ উপকার মেলে। তরমুজে থাকা লাইকোপিন সূর্যের কারণে ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পটাসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যারোটিনয়েডস, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘বি৬’, ভিটামিন ‘সি’, ক্যালসিয়াম, ফাইবার ইত্যাদি। তরমুজ কেটে তা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে খাওয়া যায়, তবে তরমুজ কেটে কখনো খোলামেলা রাখা উচিত নয়।

খেজুর : খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, কপারসহ খুব প্রয়োজনীয় উপাদান, যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। প্রচুর পরিমাণ খাদ্যশক্তি থাকায় খেজুর খেলে দ্রুত দুর্বলতা কেটে যায়। গ্লুকোজের ঘাটতিও পূরণ হয়।

পেয়ারা : পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’, যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা, শ্বাসনালি, গলা ও ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। এই পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দিতে পারে। পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যাসট্রিনজেন্ট। তাই পেয়ারা খেলে মাড়ি শক্ত হয় এবং মুখ ও দাঁত সজীব থাকে। প্রোটিন, ভিটামিন ও আঁশসমৃদ্ধ ফল হওয়ায় সব ধরনের খাদ্য উপাদান এর থেকে পাওয়া যায়। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ রয়েছে খুব কম। অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করা ছাড়াও বয়সের ছাপ প্রতিরোধ ও ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে পেয়ারা।

ডালিম : ডালিম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তাহলে নিয়মিত ডালিম খাওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহেই আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ডালিম আথ্রাইটিসে উপকার করে। এ ছাড়া এটি হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।

বেল : গরমে ঠাণ্ডা বেলের শরবতে প্রাণ জুড়ায়। দীর্ঘমেয়াদি আমাশয় ও ডায়রিয়ায় কাঁচা বেল ভালো ফল দেয়। অধিক আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের জন্য উপকারী। বেল ত্বকের ব্রণ ও সংক্রমণ সারাতে সাহায্য করে। বেলের শরবত খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, পেটের অসুখ ভালো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *