Related Articles
ফকির গোলাম তাবরেজ, বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ
অবশেষে প্রতারণা ও আত্মসাতের মামলায় জেল হাজতে আবু বকর সিদ্দিক।
মঙ্গলবার(২৮ অক্টোবর ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যা জিস্ট্রে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তার জা মিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে পুলিশ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রি মান্ডের আবেদন করে। পরে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার বিবারনে জানা জায়, বাদী মোহাম্মদ মুস্তাকিম বিল্লাহ, একজন বৈধআমদানিকারক ও “ফকিরহাট হ্যা চারি অ্যান্ড নার্সিং পয়েন্ট” এবং “মেসার্স তাসফিয়া এন্টা রপ্রাইজ”-এর মালিক। তিনি ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠান মা ফাজা নুসা ইলেকট্রা এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে সুপারি আ মদানি করছিলেন। এই প্রক্রিয়ায় এলসি খোলার সহায়তা করতেন আবু বকর সিদ্দিক, যিনি “মেসার্স মামুন এন্টার প্রাইজ”-এর স্বত্বাধিকারী। প্রথম ও দ্বিতীয় চালান সঠি কভাবে সম্পন্ন হলেও তৃতীয় চালানের ২৭ টন সুপারি ক্ষেত্রে সিদ্দিক প্রতারণার আশ্রয় নেন।
গত ১৭ আগস্ট তারিখে অভিযুক্ত সিদ্দিক আমদানির সব খরচ, কর ও এলসি মূল্য বাবদ অর্থ গ্রহণ করলেও পণ্য মুস্তাকিমের হাতে না দিয়ে ঔ সুপারি ১ কোটি ৬২
লক্ষ টাকায় আদনান নামে এক ব্যবসায়ির কাছে বিক্রি করেন। ঘটনার ৮দিন পরে ডাকাতির নাটক সাজিয়ে অ ভিযুক্ত সিদ্দিক বাদি হয়ে ফকিরহাট থানায় একটিমি থ্যা ডাকাতি মামলা দায়ের করে।
প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে মুস্তাকিম বিল্লাহ বাদি হয়ে সিদ্দিকের বিরুদ্ধে (সি.আর. মামলা নং ৪০৬/৪ ১৭ /৪২০/৪২২/৫০৬) মামলা দায়ের করেন।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের আদেশ প্রদান করেন। গত ২৮ অক্টোবর সিদ্দিক আদালতে হাজিরা দিয়ে জাবিনে আবেদন করলে আদালত জামিন
আ বে দন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী বলেন, এই ঘটনা ব্যবসায়িক আস্থার উপর আঘাত এবং প্রতারণার এক ক্লাসিক উদা হরণ। তিনি বলেন, “সিদ্দিক পরিকল্পিতভাবে একাধিক
পক্ষকে প্রতারিত করেছেন, এবং আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরন ও রিমান্ডের আবেদন বিচার ব্যবস্থার একটি ন্যায়সঙ্গত ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ।”
Bartabd24.com সব খবর সবার আগে